কী জানা যাচ্ছে?
গত সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম এসে হাসপাতালের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন। তারা কয়েকদিন থেকে এই রিপোর্ট যাচাই করছেন। পাশাপাশি দুর্নীতি ঢাকতে হাসপাতালের একাংশ নার্সকে দিয়ে বিভিন্ন বিলে জোর করিয়ে স্বাক্ষর করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেডিক্যাল কলেজের নার্সদের একাংশ। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে কোচবিহারে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক কী বলছেন?
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই MSVP ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, একটা গরমিলের অভিযোগ এসেছে। আমরাও তদন্ত করে দেখছি। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি গোটা বিষয়টি জানেন। কারণ মেডিক্যাল কলেজের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস তিনি দেখেন। ফান্ড রিলিজ করার দায়িত্ব তাঁর।
রোগী কল্যাণ সমিতি কী বলছে?
কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় জানান, হাসপাতালের এক শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দফতরের এক টিম তদন্ত করে গিয়েছে।
কলেজের প্রিন্সিপাল কী মত?
কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মল মণ্ডল জানান, স্বাস্থ্যভবনে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটা টিম এসে তদন্ত করেছে। শনিবার তাঁরা চলে গিয়েছেন। এখন সেই রিপোর্টে কী আছে বলতে পারবো না। তবে গোটা ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুর্নীতি হলে সেটা সবার সামনে আসুক বলে জানাচ্ছেন কলেজের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলা সহ একাধিক জেলার মানুষের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মাস খানেক আগেই হাসপাতালে ২০ টি বেডের এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়।