পুরকর্তারা মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত অবশ্য পাল্টা পুরনিগমকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘পুরনিগমকে কিছু বললেই বলবে লোক নেই। নির্বিকার। আসি যাই মাইনে পাই। কী করব আমি কাউন্সিলার হয়ে? বিধাননগর পুরনিগমে এক জন কাউন্সিলারের কী ভূমিকা রয়েছে মেয়রকে বলতে হবে।’ এ-ই ব্লকেরই কাউন্সিলার সব্যসাচী। শুক্রবার ডেঙ্গিতে মৃত প্রৌঢ়ের বাড়ি ওই ওয়ার্ডে। সেই প্রসঙ্গে টেনে প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘মেয়র পারিষদকে (স্বাস্থ্য) বিষয়টি জানানোর পরে শববাহী যান পাঠিয়েছেন।’
তবে মেয়রকে (কৃষ্ণা চক্রবর্তী) পাননি বলেই দাবি সবস্যাচীর। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণার সঙ্গে ‘এই সময়’-এর তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। জবাব মেলেনি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও। সব্যসাচীর সঙ্গে কৃষ্ণার রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চর্চার বিষয় বিধাননগরে। যেহেতু বিধাননগরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, লাগাতার এ নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। সুযোগ পেয়ে কৃষ্ণাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন তাঁর নিজ-দলের সব্যসাচীও। যদিও মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের তরফে সবরকম ভাবে চেষ্টা হচ্ছে সংক্রমণ কমানোর।
বন্ধ বাড়ির ছাদে যাতে মশার লার্ভা না জন্মায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ ধরনের মই ব্যবহার করে অভিযান চালানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এ দিনই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। পাশাপাশি নয়াপট্টি এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। বৈঠকে পুরসভাকে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে নির্দেশ দেন জেলাশাসক। জল জমানোর প্রবণতা রুখতে এবং এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যে স্কুল-পড়ুয়া এবং ক্লাবকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে নামার কথাও বলেন দ্বিবেদী। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আজ, রবিবার থেকেই জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে ক্লাব এবং স্কুল-পড়ুয়াদের নিয়ে আমরা প্রচারে নামব।’ কিন্তু কেন আগে শুরু হলো না এই প্রচার, তার সদুত্তর মেলেনি।