২০১৫-তে রাজ্য সভাপতির চেয়ার চলে যাওয়ার পর রাহুলের জন্য দিলীপের ঘরের পাশেই একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল। রাহুল-ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘২০১৫ থেকে ওই ঘরে নিয়মিত বিকেলে এসে বসতেন রাহুলদা। ওঁর রাজনৈতিক জীবনের বহু ঘটনা এবং উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিল ওই ঘর। আচমকা সেই ঘর ভেঙে দিলে খারাপ তো লাগবেই। সে জন্যই হয়তো শনিবার বিকেলে পার্টি অফিসে তিনি নিজের নীরব প্রতিবাদ এক রকম জানিয়ে গেলেন।’
শনিবার বিকেলেই দিল্লি থেকে দিলীপ কলকাতায় ফিরেছেন। রবিবার তিনি নিজের সংসদীয় এলাকার কাজে খড়্গপুরে থাকবেন। তবে দিন কয়েকের মধ্যে তিনিও রাজ্য বিজেপি দপ্তরে যাবেন বলে দিলীপ ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। তবে বিজেপির অন্দরের খবর, তত দিনে তাঁর ঘরটিও ভেঙে ফেলা হবে। দিন দশেক আগে মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন দিলীপ। তখনই তাঁর ঘর ভাঙার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এসি মেশিন খুলে নেওয়া হয়। কেটে দেওয়া হয় ঘরের টিভি-র কেবল সংযোগও। খোঁজ নিয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ জানতে পারেন, রাহুল সিনহা ও তাঁর ঘর ভেঙে ফেলা হবে। তার পরেও অবশ্য বঙ্গ বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের তরফে দিলীপকে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, দিলীপ-রাহুলের ঘর ভাঙার বিতর্ক সহজে ধামাচাপা পড়বে না। কারণ, জল গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। পার্টির দুই বর্ষীয়ান নেতাকে কেন অন্ধকারে রেখে তাঁদের ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, সেই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে চিঠি লিখেছেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি সামসুর রহমান। তাঁর দাবি, অমিত মালব্য এবং সুনীল বনসলদের অঙ্গুলিহেলনে এই ‘অমানবিক’ ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গ-বিজেপির এক পদাধিকারীর কথায়, ‘দিলীপ ঘোষের জমানাতেই বিজেপি এ রাজ্য থেকে ১৬ জন সাংসদ আর ৭০ জন বিধায়ক পেয়েছে। তার পরেও যদি উনি দলে সম্মান না-পান, তা হলে বাকিদের ভবিষ্যত কী হবে?