Mamata Banerjee : দেবানন্দপুর পর্যটনকেন্দ্র, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হবে শরৎচন্দ্রের এলাকা – mamata banerjee allocated rs 3 crore for several development projects including the beautification of saratchandra chatterjee birthplace


এই সময়, চুঁচুড়া: রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই মাহেশকে পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা করে এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকীতে দেবানন্দপুরকে পর্যটনকেন্দ্রের আওতাভুক্ত করার ঘোষণা করে পুজোর আগে কথা সাহিত্যিকের জন্মভিটা নিয়ে মানুষের আবেগকে সম্মানিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেবানন্দপুরের পুরোনো স্থাপত্য ও ঐতিহ্যকে বজায় রেখে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যায়ে প্যারীমোহন পাঠশালা সংস্কার, অতিথিনিবাস নির্মাণ, সৌন্দর্যায়ন-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

Digha Beach News: সিঙ্গাপুরের মজা দিঘাতেও! এবার তৈরি হচ্ছে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’, কী থাকবে সেখানে?
সাহিত্যিকের জন্মভিটেয় এক অনুষ্ঠানে দেবানন্দপুরকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেতের কথা ঘোষণা করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণাকে ঘিরে পুজোর আগে এলাকায় খুশির হাওয়া বইছে। বিধায়ক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ও পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের নির্দেশে তিনি এই ঘোষণা করেন।

Chakla Loknath Mandir : চাকলা মন্দিরের ৫০ বছর, মন্ত্রীদের বৈঠক সল্টলেকে
চুঁচুড়া শহর লাগোয়া দেবানন্দপুর গ্রামে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে। সাহিত্যিকের ওই বাড়ি বাম জমানায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া সংগ্রহশালা ও স্মৃতি পাঠাগারও রয়েছে। সাহিত্যিকের লেখায় এলাকার গ্রাম ও সরস্বতী নদী-সহ নেড়াবটতলা, দোলতলার কথা উঠে এসেছে। শীতের মরশুমে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান দেবানন্দপুরে। কিন্তু লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে থাকা শরৎচন্দ্রের মতো সাহিত্যিকের বাড়ি ও গ্রামকে কেন্দ্র করে কোনও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে না ওঠায় শরৎসাহিত্য অনুরাগীদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরা ওই এলাকায় পর্যটনকেন্দ্রের দাবি করে আসছিলেন।

Devi Choudhurani Mandir : নব কলেবরে সেজে উঠছে দেবী চৌধুরানি মন্দির, পর্যটকদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণ
বিধানসভায় দেবানন্দপুরকে পর্যটন মানচিত্রে আনার দাবি তুলে ছিলেন বিধায়ক অসিত। বিধায়কের দাবি, তাঁর মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রাজ্য সরকার সিলমোহর দিয়েছে। দেবানন্দপুরে বিধায়ক ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া উপস্থিত ছিলেন। অসিত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনে ও পর্যটনমন্ত্রীর ইচ্ছায় দেবানন্দপুর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

Tourist Place in West Bengal : বাংলার মুকুটে নয়া পালক, দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী
এ দিন আমায় পর্যটনমন্ত্রী ফোন করে জানিয়েছেন। তাঁর হয়ে এলাকায় এই কথা ঘোষণা করার কথাও বলেছেন। প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালা সংস্কার, তোরণ নির্মাণ, অতিথিশালা নির্মাণ, সুলভ ক্যান্টিন, সাহিত্যিকের স্মৃতিধন্য স্থানগুলির সৌন্দর্যায়নের মতো নানা উন্নয়নমূলক কাজ হবে।’ আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক শিক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের এই উদ্যোগ খুব আনন্দদায়ক। পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে সরস্বতী নদী ও দোল মন্দির, নেড়াবটতলার সংস্কার করা হলে পর্যটনকেন্দ্রের ষোলো কলা পূর্ণ হবে। এর ফলে ওই এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *