খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। আগামী শুনানিতে পুলিশের রিপোর্ট দেখার পরে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। মামলাকারীর আইনজীবী উজ্জ্বল রায় শুক্রবার আদালতে অভিযোগ করেন, আদালত এসপিকে তদন্তের ভার দেওয়ার পরেও শিবপ্রসাদ নামে সুতি থানার এক সাব ইনস্পেক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের চমকাচ্ছেন। মামলাকারী ও খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাদা কাগজে সই করাতে হুমকি দিচ্ছেন। অথচ শিবপ্রসাদ নামে ওই সাব ইনস্পেক্টর এই তদন্তে কোনও ভাবে যুক্ত থাকারই কথা নয়। সব শুনে বিরক্ত বিচারপতি সরকারি কৌঁসুলিকে বলেন, এমন যদি চলতে থাকে তা হলে এসপিকে ডেকে পাঠাব, সেটা নিশ্চয়ই ভালো হবে না।
সরকারি কৌঁসুলি মহম্মদ গালিব বলেন, এই মামলায় আট অভিযুক্তের মধ্যে চার জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদেরও খোঁজ চলছে। সেই কথার সূত্রে বিচারপতির সংযোজন, কিন্তু আসল ক্ষমতাধর গ্রেপ্তার হননি এখনও। তিনি কি গ্রেপ্তার হবেন? সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, তাঁকেও ধরার চেষ্টা হচ্ছে।
পারিবারিক ইটভাটার দখল নিয়ে প্রায় এক দশক আগে গোলমালের সূত্রপাত। পরিবারের বড় ভাইয়ের ছেলে নিশীথ দাসকে বাজারের মধ্যে পিটিয়ে, গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মোবাইলে সেই ঘটনার ছবি তোলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক সাংবাদিক তেমন কিছু ছবি জোগাড় করে স্থানীয় চ্যানেলে খবর করেন। তার পর থেকে তিনি ও নিহতের ভাগ্নে দুষ্কৃতীদের হুমকিতে বাড়ি ঢুকতে পারছেন না।
পুলিশ সেই সব মোবাইলের ছবি ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেয়। ফলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় মামলায়। নিহতের ভাগ্নে সঞ্জু দাস ও ওই সাংবাদিক রাজু শেখ হাইকোর্টে মামলা করেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে। অভিযোগ, শাসকদলের ব্লক সভাপতি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। হাইকোর্ট থানার হাত থেকে এসপিকে তদন্তভার দেওয়ার পরেও এখনও শিবপ্রসাদ নামে এসআই লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন, যাঁদের মোবাইল থেকে ভিডিয়ো ডিলিট করিয়েছিলেন, তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যে লেখানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ।