তদন্তে নেমে প্রথমে মহম্মদ মোস্তাফা নামে কংগ্রেসের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সময়ে তিনি নিহত প্রধানের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। তাঁকে শুক্রবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এরপর শুক্রবার মহম্মদ তমরেজ নামে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তমরেজ বিহারের কিষাণগঞ্জের গলগলিয়া থানার লকড়িদিপু গ্রামের বাসিন্দা। থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ মহম্মদ মোস্তাফার নাম উল্লেখ করেছিলেন নিহত প্রধানের স্ত্রী রৌশনারা খাতুন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মোস্তাফাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত তমরেজ এই খুনের ঘটনায় কীভাবে জড়িত তদন্তের স্বার্থে তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার যশপ্রীত সিং বলেন, ‘প্রধান খুনের কিনারা প্রায় হয়ে গিয়েছে। খুনের কারণও চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তের বাকি কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনায় জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না। তবে এখনই সব তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কারণ তাতে তদন্তের ক্ষতি হবে।’ খুনের তদন্তে নেমে বিভিন্ন রাস্তার সিসি ক্যামেরার ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, দুটি মোটরসাইকেলে আসা ৪ জন দুষ্কৃতী অপারেশন শেষ করে বিহারের কিষাণগঞ্জের দিকে পালিয়েছে। এরপরেই বিহার ও বাংলার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। পুলিশের অনুমান, প্রধান খুনের ঘটনায় পেশাদার খুনীদের ব্যবহার করা হয়েছে।