স্থানীয় ব্যবসায়ী দিপু সাহা বলেন, ‘বৃষ্টিতে জল দোকানে ঢুকে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ। একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জল জমে যায়। এই রাস্তা দিয়ে রোগীরা হাসপাতালে যায়। এখানকার ড্রেনগুলো ছোট হওয়ায় খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। ‘ পাশাপাশি, সরকারি বাস ডিপোতেও এক হাঁটু জল। ফলে বাস চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। সময়মত গাড়ি চলছে না। এর জেরে বিপাকে দুরপাল্লার যাত্রীরা। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন পরিবহন বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দত্ত বলেন, ‘এই বৃষ্টিতে সমস্ত এলাকায় জল জমে গেছে। আমাদের চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের। ‘
অপরদিকে, শহরের নেতাজী পল্লী, কলেজ পাড়া, উকিল পাড়া, অশোকপল্লী, রবীন্দ্রপল্লী, বিধাননগর সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। রবীন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা জয়ন্ত চন্দ জানান, ‘একটানা বৃষ্টিতে জল ঢুকে পড়েছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িতেও। শিকেয় উঠেছে রান্নাবান্না। কোনও রকমে চলছে কাজ। প্রতিবছর বর্ষার সময় এই জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। বৃষ্টিতে নালা নর্দমা ভরে গিয়েছে। রাস্তায় উঠে এসেছে জল। সাপখোপের আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।’
অন্যদিকে, এবিষয়ে রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস জানান, ‘এত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যার জেরে শহরের বেশীরভাগ ওয়ার্ডেই জল জমেছে। বিশেষ করে নীচু এলাকা গুলি জলমগ্ন। প্রয়োজন অনুযায়ী পাম্প সেট বসিয়ে জল বের করা চেষ্টা হচ্ছে। প্রশাসনের সাথেও এবিষয়ে কথা বলছেন। নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কাজ করছে পুরসভা। ‘ এখন কতক্ষণে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।