এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘আগামী ২৫ তারিখের পর, গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধে যদি কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে খগেন বাবুদের মত BJPর এমপি, এমএলএ-দের মত শুধুমাত্র ছবিতে আসার জন্য,টিভিতে আসার জন্য, খবরে কাগজের সংবাদে আসার জন্য, ডিএম অফিস ঘেরাও করা এসপি অফিস ঘেরাও করার মতো কর্মসূচি নেয়, তাহলে আমরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র পার্টি করি, লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমরা আজকে নিশ্চিহ্ন পশ্চিমবাংলার বুকে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে লড়াই করব, যারা গঙ্গা ভাঙ্গনের অবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না ডিএম অফিস ঘেরাও করে সস্তার রাজনীতি করতে চান, ২৫ তারিখের পরে কোন সুরাহা না বেরোয় তাহলে সেই সাংসদ বিধায়কদের সেই BJPর নেতাদের প্রথমে গঙ্গায় ছোড়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, ‘যারা গঙ্গার পাড়ে যেতে পারে না, এদিকে ডিএম অফিসের সামনে এসে আন্দোলন করে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া গঙ্গার পাড়ে যদি আপনারা যান, গঙ্গা পারের মানুষ বাড়িঘরের সঙ্গে আপনাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। BJP-র বন্ধুরা এই সতর্কবার্তা আপনাদের জানিয়ে রাখছি। আমরা পেটে ভাত চাই, গরীব মানুষ খেতে পারছে না । ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে আর তোমরা ঝান্ডা লাগিয়ে ডিএম অফিসে মাতামাতি করবে নাচানাচি করবে, সেটা গ্রামের মানুষ সহ্য করবে না। যাদের পেটে খিদে থাকবে, সেই ক্ষুধার্ত মানুষ তোমাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। এই হুঁশিয়ারি তোমাদের জন্য। আগামী দিন এখানে যারা BJP-র সাংসদ আছেন, বিধায়ক আছেন। তাদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিনীতভাবে অনুরোধ, আপনারা যেভাবে ঘৃণ্য চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন। হয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুন, না হলে তাদের কাছ থেকে টাকা এনে গরীব মানুষের কাছে দিন। না হলে মানুষ আপনাদেরকে চলতে দেবে না, ফিরতে দেবে না।’
পালটা উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘আমরা যা করার করেছি কেন্দ্রে যা বলার বলেছি। তৃণমূলের বিধায়করা নাটক করে মানুষকে বিপথগামী করছেন।’