ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। অভিযুক্ত কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকার। দিনের পর দিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাজিরায় কারিকুরি করে বেতন হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের SP অফিসে পোস্টিং ছিল ওই কনস্টেবলের। খোদ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে বসেই জালিয়াতি চালাত সে। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাজিরা খাতায় কারিকুরি চালাত সে অনুপস্থিত সিভিকদের উপস্থিত দেখিয়ে তাদের বেতন চুরি করত সে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারের ওই কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের উপর লাখ লাখ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি আলিপুরদুয়ার লাগোয়া নর্থ পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, গত চার পাঁচ বছর ধরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন হাতিয়ে নিয়েছেন ওই কনস্টেবল। কমপক্ষে ৯ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে পুলিশ কর্মীদের বেতনের বিল বানানোর দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতনের তালিকা করে ট্রেজারি অফিসে জমা দিতেন তিনি। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে তাদেরও বেতনের বিল তৈরি করতেন। অ্যাকাউন্ট নম্বরের জায়গায় পরিচিত কারও অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতেন। সরকারের তরফে বেতনের টাকা অ্যাকাউন্টে পড়লে তুলে নিতেন দীপঙ্কর বলে অভিযোগ। গত চার পাঁচ বছর ধরে এই উপায়ে জালিয়াতি করে আসছেন তিনি।
অভিযুক্ত দীপঙ্কর সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তে। রামপুরহাটের মনোজিৎ বাগীশের পর এবার দীপঙ্কর সরকারের ঘটনায় পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতনের তালিতকায়