এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিনহা আদালতে বলেন, ‘শেষদিন শুনানির সময় সম্পত্তির যে হিসেব পেশ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই আধিকারিকদের তলব করা হল। সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভি থাকলে ভালো হয়। নইলে অন্য কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিককে থাকতে হবে।’ বিচারপতির এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক ও আইনজীবী মহলের একাংশ। সোমবার বিকেল ৪টে ১৫-তে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতির সিনহার এজলাসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের শীর্ষ কর্তাদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করে ইডি। একই সঙ্গে এক টলিউড অভিনেতার সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করা হয়। ED-র তরফে পেশ করা সম্পত্তির খতিয়ান দেখে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘গোটা টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাত্র একজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এটা কোনওভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এতদিন মাত্র একজনকে খুঁজে পাওয়া গেল?’
নিয়োগ দু্র্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ED। সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট ও অভিষেকের সংস্থাল লিপস অ্যাান্ড বাউন্ডসের কালীঘাটের অফিসে অভিযান চালায় ED। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও ও ডিরেক্টরদের সম্পত্তির তথ্য তলব করা হয়।
উল্লেখ্য সুজয়কে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে তলব করা হয়। সেখানে তাঁকে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। জিজ্ঞসাবাদ শেষে বেরিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে হেনস্থার অভিযোগে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।