শুধু সিকিম নয়, কালিম্পং ও দার্জিলিঙের রুটেও পড়েছে প্রভাব। ট্রেনে ও বিমানে শিলিগুড়িতে এসেই সেখান থেকে সিকিম যান অনেক পর্যটক। শিলিগুড়িতে থেকে সিকিম যেতে ও সেখান থেকে শিলিগুড়ি আসতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। রবিবার শ্বেতিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জেরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। গতকাল সকালে ধসের পর সেখানে কিছুটা মেরামত করে একমুখী যান চলাচল শুরু করানো হয়। কিন্তু ফের ধসের জেরে সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় সড়ক যেভাবে ধসে গিয়েছে তাতে যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত প্রশাসনের তরফে গাড়িগুলিকে ঘুরপথ দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যে পথে চলছে গাড়ি
শিলিগুড়ি থেকে গাড়িগুলিকে গোরুবাথান লাভা রোডের দিকে ঘুরিয়ে হচ্ছে। সিকিমের পাশাপাশি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কালিম্পঙের গাড়িগুলি চলে। বর্তমানে তিস্তাবাজার পেশক ও কার্শিয়াং হয়ে সেই গাড়িগুলি যাচ্ছে। এদিকের সিকিমের পেলিং, রাবাংলা, নামচির গাড়িগুলিকে দার্জিলিং ও লেবং দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া শুরু হচ্ছে। এই পথে গাড়িগুলি চলায় সিকিম পৌছাতে কিংবা সিকিম, কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি আসতেও অপেক্ষাকৃত বেশী সময় লাগছে। এদিকে কিছু জায়গায় গাড়ির লম্বা লাইনের জেরেও সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকেরা।
পুজো আসতে আর একমাসেরও কম সময় বাকি। উৎসবের মরশুমের আগে রাস্তা ঠিক না হলে তা প্রভাব ফেলবে পর্যটন মরশুমে বলে আশঙ্কা গাড়ি থেকে হোটেল ব্যবসায়ীদের। এভাবে টানা বৃষ্টি চললে একদিকে যেমন মেরামতির কাজ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে, বৃষ্টির তোড় বাড়লে ধসের সম্ভাবনাও বাড়বে বলে আশঙ্কা।
রাস্তা মেরামতি না হলে পুজোর ভরা পর্যটন মরশুমে বুকিং বাতিলের আশঙ্কায় ভুগছেন গাড়ি মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। করোনা পর্বের পর গত দু’বছরে হোটেল ব্যবসা অল্পস্বল্প লাভের মুখ দেখলেও ধস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্য়ায় অনেক সময়ই ভোগান্তি এড়াতে বুকিং বাতিল করে পর্যটকেরা।