SSKM Hospital : SSKM হাসপাতালে দালালদের রমরমা! সোমের অভিযানে ‘বড়’ সাফল্য কলকাতা পুলিশের – kolkata police conduct raid at sskm hospital and arrested three tout from premises


রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালালরাজের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। টাকার বিনিময়ে রোগী ভর্তি ও বেড পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফের রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল SSKM-এ দালালরাজের হদিশ। সোমবার SSKM হাসপাতাল থেকে দালাল সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর ফের একবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালাল দৌরাত্ম্য প্রকাশ্যে এল।

Madan Mitra : সরকারি হাসপাতালে ‘দালাল রাজ’ অব্যাহত, ফুঁসে উঠলেন বিধায়ক মদন
সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেই সময়ই ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অভিষেক মল্লিক (২৩), অভয় বাল্মীকি (২০) ও দেব মল্লিক (১৯)। ধৃতরা প্রত্যেকেই ভবানীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১২০ বি, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

সম্প্রতি রাজ্যের আরও এক সরকারি হাসপাতালে দালালরাজের অভিযোগ তুলে সরব হয় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (TMC MLA Madan Mitra)। সাগরদত্ত হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হন তৃণমূল বিধায়ক। এমনকী পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধায়ক। দালালচক্ররে জন্য রমেশ হালদার নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা জড়িত জাভেদ আলিকে পুলিশ গ্রেফতার না করতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মদন।

Madan Mitra : দালালদের চিহ্নিত করার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, আক্ষেপ মদনের
সম্প্রতি অনুগামীদের নিয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হানা দেন মদন। দালালরাজের বিরুদ্ধে তাঁর গলায় ছিল চড়া সুর। একই সঙ্গে টাকার বিনিময়ে সাগর দত্ত হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল বিধায়ক। অভিযুক্ত জাভেদ আলির নামে কামারহাটি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।

Hooghly TMC : পাড়ার ক্লাবে মদ-গাঁজার নেশা! খবর পেয়ে ‘দলবল’ নিয়ে হানা তৃণমূল বিধায়কের, তারপর…
সাগর দত্ত হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ হালদার নামে বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আইসিইউতে ভর্তির জন্য অসুস্থ ব্যক্তির পরিবারের থেকে ছ’হাজার টাকা দাবি করা হয়। এই নিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হয় রোগীর পরিবারকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। খবর পেয়েই রাতে হাসপাতালে পৌছন বিধায়ক। দালালরাজের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পাশাপাশি রক্তের জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগও করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘রক্তের জন্য ১৭০০ টাকা চায় দালালরা। প্রতিরাতে এই হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করা হয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *