স্বাভাবিকভাবেই যে বামাক্ষ্যাপার কারণে আজ তারাপীঠ মন্দির খ্যাতি লাভ করেছেন, তারাপীঠ মন্দির দর্শনের পর তীর্থযাত্রীরা আটলায় পৌঁছে যান সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্ম ভিটে দেখতে । কিন্তু এখানেই ধন্দে পড়তে হয় তীর্থযাত্রীদের । কারণ আটলা পৌঁছলেই দেখা যায় বামাক্ষ্যাপার দুটি মন্দির। যে দুটি মন্দিরের কর্তৃপক্ষ তীর্থযাত্রীদের বলেন “এটাই আসল জন্মভিটে “। এমনকি রাস্তা থেকে ডেকে তীর্থযাত্রীদের মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় । আর যার জন্যই ধন্দে পড়তে হয় তীর্থযাত্রীদের ।
হাওড়া থেকে পুণ্য লাভ করতে আসা এক তীর্থযাত্রী তারকনাথ মন্ডল বলেন,” আমরাও ধন্দে আছি যে কোনটা আসল । এখন এরা যেটা বলছে সেটাই আমাদের বিশ্বাস করতে হচ্ছে। দুটি মন্দিরের কর্তৃপক্ষ একজন বলছে এটা আসল অন্যজনও বলছে এটা আসল। আর স্বাভাবিকভাবেই এই দ্বন্দ্বের কারণে আমরা দুটোকেই আসল ভেবে দর্শন করে গেলাম “
এই বিষয়ে শুভেন্দু বিকাশ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেকে সাধক বামাক্ষ্যাপার ভাইয়ের নাতির ছেলে বলে দাবি করেছেন তিনি বলেন, ‘বাংলা ১২৪৪ সালের ১২ই ফাল্গুন বৃহস্পতিবার শিবরাত্রিতে জন্মগ্রহণ করেন বামাখ্যাপা। আটলার মোট ২৫ কাঠা যার দাগ নম্বর ৫৬৯ এর পুরোটাই বামাক্ষ্যাপার জন্ম ভিটে। কিন্তু বর্তমানে এই ভিটের অংশীদার মোট ৬ জন। মূল দুটি ভিটে অর্থাৎ যেখানে বামাক্ষ্যাপার আদি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেটি হল সুখেন্দু বিকাশ ও শুভেন্দু বিকাশের মাটির দুইতলা বাড়ির মধ্যে। যেহেতু এই পুরোটাই বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে, তাই এই পুরোটাকেই পবিত্র বলে মনে করা হয়।’