Visva Bharati University : মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি উপাচার্যের, রাস্তা ফেরত চাইল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় – visva bharati university writes cm mamata banerjee to get back road


শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের সামনের পিচ রাস্তা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শান্তিনিকেতনের পোস্ট অফিস মোড় থেকে যে রাস্তাটি শ্রীনিকেতন চলে গিয়েছে তার দায়িত্ব বিশ্বভারতীর থেকে নিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। এই রাস্তা নিয়ে নতুন করে ফের রাজ্য ও বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।

Visva Bharati University : ‘আশ্চর্য! ৭ মাস পর বুঝলেন…’, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট
রাস্তাটির উপরে এই রয়েছে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা, উত্তরায়ণ, নাট্যঘর, কলাভবন, সংগীত ভবন সহ রামকিঙ্কর বেইজের হাতে নির্মিত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য। ইতিমধ্যেই UNESCO-র তরফে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এই রাস্তাটিকে ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হল। বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে।

Santiniketan World Heritage : হেরিটেজ স্বীকৃতিতে শুভেচ্ছা, শান্তিনিকেতন ভ্রমণের ছবি শেয়ার আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডার
উল্লেখ্য প্রায় ৪ কিলোমিটার এই রাস্তা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ থাকলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ২০২১ তাহলে সেই দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর হাত থেকে নিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। রাস্তা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় রাজ্য পূর্ত দফতর। তার ফলে এই রাস্তায় যান চলাচলে কোনওরকম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ভারী যানবাহন যাতায়াতের কারণে উপাসনা গৃহসহ একাধিক ভাস্কর্যের ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। তাই রাজ্য সরকারের কাছে রাস্তা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Santiniketan World Heritage : শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ তকমায় কৃতিত্ব কার? মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য
সম্পত্রি বিশ্বভারতীকে World Heritage তকমা দেয় UNESCO। এই ঘোষণা করানো হয় UNESCO-র তরফে। শিক্ষা ও সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিশ্বভারতীয় এই মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর এই ঘোষণায় বাংলার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ হল বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর এই সাফল্যে স্পেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর এই অবদানের জন্য রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি কার্যত খারিজ করে দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিকদের জঞ্জাল বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর স্বীকৃতিলাভের জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে উদযাপনের আয়োজনও করা হয়েছিল। তাদের নিশানা করে উপাচার্য বলেন, ‘এই স্বীকৃতির জন্য আশ্রমিক ও রাবেন্দ্রিকদের কোনও ভূমিকা বা সহযোগিতাই নেই। এরা সব জঞ্জাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও বিশ্বভারতীয় সব কর্মীদের পরিশ্রমের কারণে স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *