West Bengal Cyber Crime Department : সাইবার ক্রাইমে রাশ টানতে বড় সিদ্ধান্ত, ADG পদ তৈরি রাজ্যের – west bengal government create adg post in police to control cyber crime


সাইবার সমস্যা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। আর এর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সাইবার সেলকে দিন দিন আরও মজবুত করছে রাজ্য। এবার এই সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাইবার এডিজি পদ তৈরি করল রাজ্য।

সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে সেক্সটরসন মামলা এডিজি সাইবার, সিআইডি-কে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, হুগলির এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীকে সেক্সটরশনের ফাঁদে ফেলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং প্রতারকদের চাপে তাঁর আত্মহত্যার প্রেক্ষিতে চলছিল এই মামলা।

Online Fraud : জামতারা পাস্ট, টপার ভরতপুরের ‘টাটলুবাজ’
এদিন মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি একটি বিশাল চক্র। আর অন্যান্য রাজ্যেও এর ডালপালা ছড়িয়ে রয়েছে। প্রয়োজনে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করতে হবে। পুজোর ছুটির আগে মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের যে সমস্ত আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের এই মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরানো যাবে না বলেও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Aadhaar Biometric Lock Fraud : ‘বায়োমেট্রিক লক’-এর নামেও Aadhaar প্রতারণা! নতুন ফাঁদের হদিশ
রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে আবেদন জানানো হয়, সেক্সটরশন জাল ছিঁড়তে নতুন পদ তৈরি করেছে রাজ্য। CID-তেই তৈরি করা হয়েছে এডিজি সাইবার পদ। তাঁরই নেতৃত্বে এই SIT গঠন করার পরিকল্পনার কথা কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। পাশাপাশি সারা দেশজুড়ে এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য রাজ্যের। ফলে CID-কে এক্সপার্ট অফিসারদের নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক, এই আবেদনও করা হয়।

প্রসঙ্গত, সাইবার প্রতারণা মামলা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। পরিসংখ্যানটা অনেকটাই উদ্বেগজনক। এই ধরনের মামলার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আলাদা করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সাইবার সেলকে।

Aadhaar Biometric Fraud : আধার বায়োমেট্রিক প্রতারণায় ৬৬টি অভিযোগ তদন্তে পুলিশ
শুধু তাই নয়, সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতায় অনেক বেশি করে ক্যাম্পেন করা হচ্ছে পুলিশের তরফেও। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিশেষ প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন করে এডিজি পদ তৈরি করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে

সাইবার অপরাধ ঠেকানোর জন্য একাধিক জেলায় সাইবার থানা গড়ে উঠেছে। সেখানে পরিকাঠামোর উন্নয়নের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে বিস্তর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, সাইবার অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে একমাত্র সাধারণ মানুষের সচেতনতা। যতদিন না পর্যন্ত সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত সচেতন হচ্ছেন ততদিন এই ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *