কী জানা যাচ্ছে?
চীনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছে প্রণতি নায়েক। সোমবার সকালে একটি রাউন্ডে ওমেন্স আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক ভল্টে জেতার পরেই ৯টা নাগাদ ফোন করেন পিংলায়। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক এবং মা প্রতিমা দেবীর সঙ্গে কথা বলেন প্রণতি। আগামী বৃহস্পতিবার হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। এশিয়ান গেমসে জিমন্যাস্টিক্সে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক।
কী জানাল বাবা-মা ?
শ্রীমন্ত বাবু বলেন, ‘মেয়ে এদিনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর ফোন করেছিল। আমাদের দু’জনের সঙ্গেই কথা হয়েছে। ওকে সাবধানে থাকতে বলেছি আর মনোযোগ দিতে বলেছি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিকে। ও জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবে।’ তিনি জানান, ওকে আশীর্বাদ যেমন করেছি তেমন অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাকে। আশাবাদী একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যেন ওখানে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে প্রণতি।
প্রণতিকে নিয়ে আশাবাদী সকলে
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের মেয়ে প্রণতি নায়েক। গত ২০২১ সালের ২৫ জুলাই টোকিয়ো অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সে। প্রণতির মা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। ওর সেজ মামী ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে ও এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।’
অভাবের সংসারেও সাফল্য প্রণতির
শ্রীমন্ত বাবু পেশায় বাসের চালক হলেও কয়েক বছর হলো সেই কাজ তিনি আর করেন না। শ্রীমন্ত নায়েক জানান, অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও যে ও এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক ও। মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে শ্রীমন্তের। ভাল কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁর। তিনি বলেন, ‘ফোনে কথা হয় ওর সঙ্গে। ঠিক মতো অনুশীলন করার কথা বলেছি।’