Birbhum News : লাগাতার ভাঙচুর-হেনস্থা-হুমকি! প্রাণভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ৪০ চিকিৎসক – doctors have appealed to police at birbhum rampurhat to save them


প্রাণভয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দ্বারস্থ হলেন বীরভূমের রামপুরহাটের প্রায় ৪০ জন চিকিৎসক। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশনও জমা দেন তাঁরা। চিকিৎসকদের এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার স্বাস্থ্যমহলে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

চিকিৎসকদের দাবি, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রামপুরহাট শহরে যে সমস্ত নার্সিংহোমগুলি রয়েছে সেখানে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে পরিজনরা হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে। এমনকী হেনস্থার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না চিকিৎসকেরাও। তাঁরা আরও জানান, গত ২ দিন আগে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক চিকিৎসকের কাছে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা দাবি করেছে মৃতের পরিবার। এমনকী তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এবার তাই সেই সমস্ত অভিযোগকে সামনে রেখেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে ডেপুটেশন জমা দিলেন রামপুরহাটের ওই চিকিৎসকেরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Madan Mitra : সরকারি হাসপাতালে ‘দালাল রাজ’ অব্যাহত, ফুঁসে উঠলেন বিধায়ক মদন
এই বিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, ‘গতকাল চিকিৎসকরা ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি একটা রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই রোগীর পরিবারের লোকজন চিকিৎসককে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। সেই বিষয়টিও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন । ওঁদের বলেছি FIR করতে। করলে ব্যবস্থা নেব।’

Madan Mitra : দালালদের চিহ্নিত করার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, আক্ষেপ মদনের
প্রসঙ্গত শহর কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগা থেকে মাঝেমধ্যেই উঠে আসতে থাকে রোগীর পরিবারের হাতে চিকিৎসকদের হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ। গত মে মাসে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক জুনিয়র ডাক্তারের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। জানা যায়, রোগী ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে পরিবারের সঙ্গে বচসা শুরু যায় জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই সময় উত্তেজিত জনতা এক জুনিয়র চিকিৎসকের নাক ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে বাঁচাতে দিয়ে আহত হন অন্যান্য ডাক্তাররাও। আহত হন এক নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

SSKM Hospital : SSKM হাসপাতালে দালালদের রমরমা! সোমের অভিযানে ‘বড়’ সাফল্য কলকাতা পুলিশের
তার আগে গত বছর কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা। জানা যায়, দুর্ঘটনায় আহত দুই রোগীকে ওই হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন ডাক্তাররা। অভিযোগ রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করার সময়ই এক সিনিয়র চিকিৎসককে রোগীর বাড়ির লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে নামেন। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা হাসপাতাল চত্ত্বরজুড়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *