সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সংস্থাটি উড়ালপুলটি খতিয়ে দেখার পরে জানিয়ে দেয়, ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তবে, অন্যান্য অংশের অবস্থা মোটের উপর ঠিকই রয়েছে। ওই রিপোর্ট জমা পড়ে নবান্নে। এরপর নবান্নর তরফে কেএমডিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এখনই না ভেঙে কোনওভাবে উড়ালপুলটির আয়ু বাড়ানো যায় কিনা, তা দেখার জন্য।
সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই ১৯ এবং ২০ নম্বরের পিলারের গার্ডার বদল করা হয়। একই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই দুই পিলারের কার্যক্ষমতাও বাড়ানো হয়। সে কারণেই আপাতত কয়েক বছর সেতুটি আর ভাঙার প্রয়োজন হবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১২ সালে প্রায় সাড়ে ন’কোটি টাকা খরচ করে এই উড়ালপুলটি তৈরি করা হলেও ২০১৬-তেই বড়সড় ফাটল দেখা দেয়। সে সময়ে কেএমডিএর তরফে জানানো হয়, অবিলম্বে ফাটল যাচাই করে মেরামত করা প্রয়োজন। সেই মেরামতির পরেও ২০১৯ সালে ফের এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভারী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে মেরামতির কাজও হয়।
কিন্তু, তাতেও সমস্যা মেটেনি। বরং মাস ছয়েক আগে নতুন করে ফাটল দেখা দেয় চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে। আবারও তা মেরামত করা হয়। এখন উড়ালপুলে আর কোনও সমস্যা নেই বলে এদিন জানানো হয়েছে।