পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া যে সমস্ত দূরপাল্লার গাড়ি ধর্মতলা থেকে ছাড়ে, সেই সমস্ত গাড়িগুলোকে আপাতত বিভিন্ন ডিপোতে রাখা হচ্ছে। যখন যে গাড়ির টাইম, সেই টাইমের এক ঘন্টা আগে ডিপো থেকে ধর্মতলায় আনা হচ্ছে। সেখানে প্যাসেঞ্জার নিয়ে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে ধর্মতলায়। কিন্তু ধর্মতলা থেকে প্রতিদিন একাধিক দূরপাল্লা বাস ছাড়ে। শহরের মধ্যস্থলে বাস স্ট্যান্ড থাকার কারণে যানজটের সমস্যায় হচ্ছে। এছাড়া পরিবেশের বিষয়টিকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পরিবেশকর্মীর করা সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বায়ুদূষণের কথা মাথায় রেখে এসপ্ল্যানেড থেকে বাস টার্মিনাসকে অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
একটা সময় শোনা যাচ্ছিল, ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরিয়ে সাঁতরাগাছিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনকী, সেখানে রাজ্য সরকার একটি ট্রান্সপোর্ট হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি নন রাজ্যের বাস মালিকদের একাংশ। কারণ ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরানো হলে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা দেখা যেতে পারে বলেই মত বাস মালিকদের।
এই মাসে হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে রাজ্য সরকার। আদালতে রাজ্যের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়, কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গা নিয়ে মোট ৫০০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকায় বাস দাঁড় করানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালত জানতে চায়, ‘যে কোনও প্রথম সারির দেশে ১০ তলায় বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, এখানে তা না হওয়ার কী হয়েছে?’ তবে সেই বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে শেষ পর্যন্ত কোথায় করা হবে তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি সরকার। এদিন কার্যত সেই কথাই শোনা যায় পরিবহণমন্ত্রীর মুখেও।