পুজো মানেই থিমের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন ভাবনা শিল্পের আকারে ফুটিয়ে তোলা হয়। কাতারের লুসেল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছিলেন মেসিরা। বিশ্বকাপ হাতে মেসিকে দেখে চোখে জল ছিল তাঁর ভক্তদের। আর ফুটবল ভক্তদের সেই মুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দিতেই সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির এই উদ্যোগ। ৩৫ ফুট উঁচুতে লুসেইল স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৪০ ফুট উচ্চতার একটি মেসির মূর্তিও তৈরি করা হচ্ছে।
তাঁর হাতে ধরা থাকবে বিশ্বকাপও। ফুটবলপ্রেমীরা পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করার পরেই বিশ্বকাপ জয়ের সেই উন্মাদনা অনুভব করতে পারবেন। কারণ সেখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মণ্ডপের স্টেডিয়ামে থাকবে চেয়ারও। সেখানে বসে করা যাবে প্রতিমা দর্শন। এই ভাবনা প্রথম এসেছিল ক্রীড়া প্রচারক শতদ্রু দত্তের মাথায়। এরপর তাঁর ভাবনার উপর নির্ভর করেই গড়ে উঠছে এই মণ্ডপ।
বাঙালির ফুটবল এবং মেসি প্রেম নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই থাকে না। আর তার সঙ্গে পুজোর আবেগ। সবমিলিয়ে পুজোয় এই মণ্ডপ যে সাধারণ মানুষের বিশেষ নজর টানবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে চলেছে? এই পুজোর অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্ত বলেন, “প্রাথমিকভাবে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বাজেট ধরে এগিয়ে চলা হচ্ছে।”
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে বলা হয়, লিওনেল মেসি নাকি কলকাতায় শ্রীভূমির পুজোর জন্য আসতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হলকা হাওয়া বয়ে গিয়েছিল তাঁর ভক্তমহলে। কিন্তু, সত্যি কি তিনি পুজোয় কলকাতায় আসবেন?
এই প্রসঙ্গে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু কিশোর গোস্বামী অবশ্য এই সময় ডিজিটাল-কে স্পষ্ট জানান, এটি ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবর। মেসি শ্রীভূমির পুজোতে আসছে না।
শুধু তাই নয়, ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্ত-ও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই পোস্টটি সঠিক নয়।
প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ, আপডেট, বিশ্লেষণ এবং ভিডিয়ো দেখতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A