এই সময়, আলিপুরদুয়ার: সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাসিক ভাতা থেকে টাকা তছরুপে অভিযুক্ত কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারকে সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পেশ করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জালিয়াতির নতুন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। অথচ গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজে অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের যে টাকা অভিযুক্ত কনস্টেবল পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করেছে, সেই টাকা এমন ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে, সেই টাকা যে চুরির টাকা, তা তাঁরা বুঝতেই পারেননি।
বরং তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার নজরানা হিসেবে, প্রতি দশ হাজার টাকার জন্য ধৃত কনস্টেবল এক হাজার টাকা করে তাঁদের নজরানা হিসেবে উপহার দিয়েছে। ফলে তাঁরাও সরল মনে ওই টাকার উৎস নিয়ে আর মাথা ঘামাননি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যে জানতে পেরেছিল আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ টাকা, কিন্তু ধীরে ধীরে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোতে শুরু করেছে বলে দাবি তদন্তকারি পুলিশ আধিকারিকদের।
বরং তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার নজরানা হিসেবে, প্রতি দশ হাজার টাকার জন্য ধৃত কনস্টেবল এক হাজার টাকা করে তাঁদের নজরানা হিসেবে উপহার দিয়েছে। ফলে তাঁরাও সরল মনে ওই টাকার উৎস নিয়ে আর মাথা ঘামাননি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যে জানতে পেরেছিল আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ টাকা, কিন্তু ধীরে ধীরে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোতে শুরু করেছে বলে দাবি তদন্তকারি পুলিশ আধিকারিকদের।
তাঁদের অনুমান আত্মসাৎ করা ওই টাকার পরিমাণ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ছুঁয়ে ফেলবে। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাস ওয়ার্ড জালিয়াতি করে টাকা সরানো হয়েছে, তাঁরা ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানার পর রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন। যদিও তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার।
ধৃত কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের সঙ্গে ওই টাকা জালিয়াতিতে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আদালতে পেশ করার সময় ধৃত কনস্টেবল সংবাদমাধ্যমের সামনে একটি কথাও বলতে চাননি। জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন ‘অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আমরা বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছি।
অযথা কাউকে ওই ঘটনায় জড়ানো হবে না। আমরা ওই জালিয়াতির গোঁড়ায় পৌঁছতে চাইছি। আর আমার দফতরের অর্থ বিষয়ক কর্মীদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।’