নাচ ময়ূরী নাচ রে! সাত সকালেই দেখা মিলল একঝাঁক ময়ূরের…Peacocks seen in Danguajhar Tea Garden Jalpaiguri an amazing sight enjoyed by the tea labourers


প্রদ্যুৎ দাস: গত কয়েকদিন ধরেই অবিরাম বৃষ্টি চলছে উত্তরে। চা-শ্রমিকদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। সবুজ চা-পাতায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা বাগান। তবে আজ, বুধবার সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, সঙ্গে মাঝেমধ্যে রোদের ঝলকানি। সব মিলিয়ে পরিবেশ বেশ মধুর। মাঝে-মাঝে মেঘ সরে গিয়ে উজ্জ্বল হয়ে চোখে ধরা দিচ্ছে চা-গাছের পাতা। আর এরই মধ্যে এক বিরল দৃশ্য দেখা গেল! যে দৃশ্য অনেকেরই মনে জাগিয়ে দিতে পারে অকাল বসন্তের আমেজ। 

কী সেই দৃশ্য?

আরও পড়ুন: Malbazar: বাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ! আতঙ্ক ছড়িয়ে এবার দিনের বেলাতেই দর্শন দিল সে…

সাত সকালে একদল ময়ূরের মন-ভালো-করা সুন্দর দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহর-লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে। ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে তখন মেঘ সরে গিয়ে কিছুটা আলো পড়েছিল সবুজ ঘাসে আর চা-গাছের উপরে। যেন অনেকটা গালিচার মতো দেখাচ্ছিল। তখনই সেখানে দেখা গেল পেখম তুলে বসে রয়েছে একঝাঁক ময়ূর। চা-বাগন জুড়ে তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর হালকা হিমেল হাওয়া। 

এমন মনোমুগ্ধকর সবুজ প্রকৃতি চারিদিকে, আর তার সঙ্গে ময়ূরের এই সৌন্দর্য। সব মিলিয়ে মনপ্রাণ ভরে উঠতে বাধ্য। দৃশ্য হিসেবেও খুব বিরল এটি। ফলে, ময়ূর দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করে নেন।  

এই প্রসঙ্গে স্থানীয়দের কাছ  থেকে জানা যায়, হালকা বৃষ্টি হলেই নাকি ময়ূরের দল চলে আসে বাগানের রাস্তায়। পেখম তুলে ঘোরাফেরা করে। আর এমন অপরূপ দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। তাঁরা খুব উপভোগও করেন এটি। 

আরও পড়ুন: আশ্বিনের শারদলগ্নে অপরূপ কাশফুল! চোখ ফেরাতে পারবেন না এই সব ছবি থেকে…

বাগানসূত্রেও জানা যায়, বহু দিন ধরে প্রায়শই একদল মূয়রের দেখা মেলে এই বাগানে। এই মূয়রদের ভালোবেসে দেখভাল করেন বাগানেরই কিছু শ্রমিক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার  সাধারণ মানুষজন। মূয়র ডিম দিলে ডিমগুলিকে যত্নের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করেন তাঁরাই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *