এদিন শহরের হকারদের প্রাধান্য দেওয়া কলকাতা পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কলকাতার হকারদের ছবি দেখে পুরসভার আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘বিষয়টা দেখুন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই বিষয় নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিন। এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। রাজনীতি জড়িয়ে গেলে এই বিষয় নিয়ে আর কোনও কাজ হবে না।’
সম্প্রতি কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সিগন্যালগুলির আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হকারদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বৈঠকে বসে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। এই পুরসভায় বৈঠকও করা হয়। নতুন করে পুর এলাকায় কোনও হকারদের বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেআইনিভাবে বসা কোনও হকারদের বিরুদ্ধে এবার থেকে সরাসরি পদক্ষেপ করতে পারবে কলকাতা পুলিশ।
অন্যদিকে কলকাতা শহরে ‘শপিং হাব’ বলে পরিচিত ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলের নীচে বসা হকারদের নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। চলতি মাসে কলকাতা পুরসভাকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে থাকা ফুটপাথ হকারমুক্ত করতে হবে। বিচারপতি সিনহা কলকাতা পুরসভাকে জানিয়ে দেন নতুভাবে এই হকারদের কোনও লাইসেন্স নেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে এই অবৈধ দোকানগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ এল, CESC-র কাছে সেই কৈফিয়তও তলব করেন বিচারপতি সিনহা।
উল্লেখ্য, গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ হকার সমস্যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। গ্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের হোটেলের সামনে ছাউনি দিয়ে ঢাকা ফুটপাথ সম্পূর্ণভাবে হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। এমনকী হোটেলে প্রবেশের পথের রাস্তাতেও হকারদের দাপট দেখা গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ নেওয়া ও গাঁথনি করে দোকান তৈরির করার অভিযোগও উঠেছে হকারদের বিরুদ্ধে।
দিনের বড় খবর মিস হয়েছে কাজের চাপে? চিন্তা নেই হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই ব্রেকিং নিউজ। ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
