বুধবার সাতসকালে খড়গপুর শহরে চা চক্র যোগ দেন স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ইস্যুতে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। মদন মিত্র ‘সাহসী’ বলে উল্লেখে করেন বিজেপি সাংসদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘মদন মিত্র আগেই দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি আগেই বলেছিলেন যে দালালদরাজ চলছে। উনি সাহস করে বলেছেন। সাধারণ মানুষও জানে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়। রোগী ভর্তি করার জন্য বেড পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে মানুষ বিনামূল্যে পরিষেবা পায়। কিন্তু দালালরাজের জন্য আউটডোরের সুবিধা থেকেও মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তৃণমূলের বিধায়কও বলছেন। কিন্তু কেউ কোনও কথা শুনছে না।’
অতীতে একাধিকবার বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে দিলীপ-মদন তরজা দেখেছে রাজ্য। দুই নেতাই একে অপরকে আক্রমণ করছে পিছপা হননি। সেখানে সরকারি হাসপাতালের দালালরাজ নিয়ে সরাসরি মদনের পাশে দিলীপ দাঁড়ানোয় বিভিন্ন সমীকরণ কষতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের দাবি, মদনকে দিলীপের ‘সাহসী’ তকমা দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গির হাত থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে ইতিমধ্যে বিকল্প চিন্তভাবনা শুরু করেছে। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেঙ্গি নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে চতুর্দিকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। ভাবতে পারছেন কী রকম ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে! আর সরকার এতটাই অসহায় অবস্থায় রয়েছে যে কোনও ব্যবস্থা করতে পারছে না। জানি না সরকার এই নিয়ে আদৌ কতটা সতর্ক। শুধু বিবৃতি দিচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী করছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
ব্যস্ততার মধ্যে দিনের গুরুত্বপূর্ণ খবর জেনে নিন WhatsApp-এ। ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল। লিঙ্ক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A