পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলা দত্তপুকুরের বাসিন্দা। তাঁর নাম জয়শ্রী কর মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, টাওয়ার বসানোর নাম করে সোদপুরের এক বাসিন্দার কাছ থেকে ৭৭ লাখ টাকা নেন তিনি। পরবর্তীতে ওই টাকা আদালত মারফত উদ্ধার করে দেওয়ার নাম করে এক সিবিআই অফিসার সেজে প্রতারিত তারক রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও ৮০ লাখ টাকা নেন।
জানা গিয়েছে, প্রথমবার টাওয়ার বসানোর নামে ৭৭ লাখ টাকা দেওয়ার পর ওই ব্যক্তি কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারেন যে প্রতারিত হয়েছেন। টাকা উদ্ধারের জন্য যখন কী করবেন ভাবছেন তখনই আবার অভিযুক্ত জয়শ্রী কর মুখোপাধ্যায় সিবিআই অফিসার সেজে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বলেন তিনি তাঁর পুরো ৭৭ লাখ টাকাই উদ্ধার করে দেবেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারক রায়কে নিজের কথাবার্ত দিয়ে প্রভাবিত করে ফেলেন জয়শ্রী। বলেন কোর্টের মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফের ফন্দি এঁটে ওটিপি হাতিয়ে ধাপে ধাপে আরও ৮০ লাখ টাকা নেত প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে। ৮০ লাখ টাকা যেতেই তারক রায়ের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন বড়সড় চক্রের ফাঁদে পড়েছেন। এরপরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের সাইবার থানায় যোগাযোগ করেন তারক বাবু।
অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মেলে অভিযুক্তের সন্ধান। দত্তপুকুর থানার সহযোগিতা নিয়ে রাতেই দত্তপুকুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্যায়াম সমিতি এলাকা থেকে ভুয়ো সিবিআই জয়শ্রী কর মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের সাইবার থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে জয়শ্রী গ্রেফতার হয়।
যদিও এই নিয়ে অভিযুক্ত জয়শ্রী বলেন, ‘আমি কিছু বলব না যা বলবে আমার আইনজীবী আদালতে গিয়ে বলবে।’ তবে এই ঘটনায় জয়শ্রী করের মা তিনি বলেন,’আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে চক্রান্ত করে।’ প্রতিবেশীরা জানান, এর আগেও ভুয়ো আইপিএস হিসেবে প্রতারণা করার জন্য তিনি গ্রেফতার হয়েছেন ।
সমস্ত খবরের তাজা আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন: https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel