টোটোর সঙ্গে ধাক্কায় আঙুল বাদ গেলো চুঁচুড়ার গৃহবধুর। চুঁচুড়া পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে মহেশতলায় শ্বশুর বাড়ি গৃহবধূ দীপিকা দাসের । চুঁচুড়া রথতলায় তার বাপের বাড়ি। বাবা একা থাকেন। দু’বেলা স্কুটি চালিয়ে নিজেই বাবার খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন।ছেলেকেও স্কুলে পড়তে নিয়ে যান। মঙ্গলবার রাতে রথতলায় নাটকের রিহার্সাল দিতে যাওয়ার সময় একটি টোটোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার স্কুটির। গুরুতর জখম হন তিনি। সাংঘাতিক আঘাত লাগে তাঁর হাতে। চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডান হাতের কড়ে আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়।
জানা গিয়েছে, রাস্তা খারাপ থাকায় টোটো গর্ত বাঁচাতে ডানদিকে চলে আসে। উলটো দিক থেকে স্কুটিতে আসছিলেন দীপিকা। ট্রাফিকের নিয়ম মেনে রাস্তার বাঁদিক দিয়ে গেলেও ভাঙা রাস্তার কারণে গর্ত বাঁচাতে টোটোটি তাঁর দিকে চলে আসে। টোটো এসে সোজা তাঁকে ডানদিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা লেগে ওই গৃহবধূর আঙুল কেটে ঝুলতে থাকে। স্থানীয়রা এসে তাকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, তার আঙুলের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে চিকিৎসকরা আঙুল কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন।
আঙুল হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দীপিকা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম হঠাৎ টোটো আমার দিকে এসে গেল। ধাক্কা লাগতেই আঙুলে চোট লাগে বুঝতে পারি কিন্তু, আঙুলের অবস্থা এতটা খারাপ বুঝতে পারিনি। এর আগেও একবার ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম টোটোর ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলাম।’
বধূর স্বামী সুদীপ দাস বলেন, ‘ এভাবে চললে মানুষের পথে বেরনো বন্ধ হয়ে যাবে। রাস্তার বেহাল দশা, সঙ্গে টোটোর দাপাদাপি।অতিরিক্ত সংখ্যায় টোটো আর যারা চালাচ্ছে কোনও আইন মানছে না।দুর্ঘটনা মাঝে মধ্যে হচ্ছে।এখনই প্রশাসনের বিষয়টা নজর দেওয়া উচিত। আজ এই ঘটনা আমার পরিবারের সঙ্গে হয়েছে কাল যে কোনও লোকের সঙ্গে হতে পারে। ঘটনায় যদিও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি দীপিকা দাস বা তার স্বামী।প্রসঙ্গত,হুগলি চুঁচুড়া শহরে আমরুত প্রকল্পের কাজ চলায় রাস্তা ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে আছে।বর্ষাতেও অনেক জায়গায় রাস্তা খারাপ হয়ে আছে।তার মধ্যে লাগামহীন হাজার হাজার টোটো।
ভিডিয়ো থেকে প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ, ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক করুন: https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel