রাজভবনে যে এলাকায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থাকেন, সেখানে পুলিশি নজরদারি অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ওই এলাকায় দুই পুলিশকর্মীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে, বলে খবর। সেই কারণে পুলিশকে সরানোর নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, পুলিশের ‘সন্দেহজনক’ গতিবিধির কথা জানিয়ে বুধবারই রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছি। তারপর রাজভবনের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাজভবনের তরফে এই নির্দেশ আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই পদক্ষেপকে সঠিক বলে মনে করছে বিজেপি। অন্যদিকে ফের রাজ্যপালের নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সঠিক, আরও আগে নেওয়া উচিত। পুলিশের উপর রাজ্যপাল বা শাসকদল, কারও আস্থাই নেই। এই রাজ্যের মন্ত্রী রাজ্যপালকে সাদা হাতি, ভ্যাম্পায়ার বলে কটাক্ষ করেছেন। মহিলার বিধায়কদের দিয়ে রাজ্যপালকে হেনস্থার চেষ্টা করেছে শাসকদল। সেখানে এই ধরনে পদক্ষেপ মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। এই রাজ্য পুলিশ শাসকদলের হাতিয়ার। রাজ্যপালের পুলিশের উপর আস্থা না রাখাটাই স্বাভাবিক।’
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘মোদী-শাহ কোম্পানির উচিত রাজ্যপাল পদটাই তুলে দেওয়া। যেখানে বিরোধী দলের সরকার রয়েছে, সেখানে তাদের হেনস্থা করতে এই পদকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করে নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন। রাজভবনের যাবতীয় খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করে। সেখানে বসে তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। রাজ্যপালের সৌজন্য রাজভবন এই বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে।’
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ, একাধিক ইস্যু রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছে। এদিনের এই পদক্ষেপ সেই সংঘাতকে আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সব খবর জানা চাই? ব্রেকিং নিউজ থেকে শুরু করে খেলা, বিনোদনের বড় খবর, জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল। লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A