Dear Lottery Result: কুলি থেকে কোটিপতি, রাতারাতি মালামাল কোচবিহারের বাপ্পা – one coolie from cooch behar wins one crore lottery


কুলি থেকে কোটিপতি। রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল কোচবিহারের বাপ্পা আলির। দিনহাটা ১ ব্লকের গোসানিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তিনি। কুলির কাজ করে সংসার চালান তিনি।

অভাবের সংসার, বাবা-মা স্ত্রী এবং তিন সন্তানের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হত বাপ্পাকে। আর অভাবের তাড়নায় ভাগ্য অন্বেষণে তিনি লটারির টিকিট কাটতে শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে।

Lottery Tickit Viral: একেই বলে ভাগ্য! লটারি জিতে প্রতি মাসে 10 লাখ করে 30 বছর, রাতারাতি কোটিপতি বৃদ্ধা
লটারি জয়ের খবর পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাপ্পা। লটারির নম্বর মিলিয়ে দেখার পরই আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। এরপর নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় থানায় চলে যান। ইতিমধ্যেই তাঁর এবং গোটা পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।

বাপ্পা বলেন, “এলাকায় ১০০ দিনের কাজ নেই। অন্য কোনও কাজও তিনি পাচ্ছিলেন না। তাই কুলিগিরি করে সংসার টানছিলেন। এই অবস্থায় বাপ্পা লটারি জয়ের খবর পেয়ে গোটা পরিবারে কার্যত খুশির হাওয়া।

Dear Lottery Result Today : ৩০ টাকাতেই ফিরল ভাগ্যের চাকা! রাতারাতি কোটিপতি কোচবিহারের মাংস বিক্রেতা
অভাবের সংসারে রুটিরুজি চালানোর জন্য তিনি তাঁর সন্তানকেও কাজে নামান। এই লটারিতে তাঁদের ভাগ্যও ফিরবে বলে আশাবাদী গোটা পরিবার। বাপ্পা বলেন, “আমি সন্তানদের পড়াশোনা করাতে চাই। বাবা মায়ের আগামী দিন যাতে সুখে শান্তিতে কাটে সেই ব্যবস্থা করতে চাই। ওদের কোনও অভাব আমি রাখব না। বাকি অর্থ দিয়ে ব্যবসা শুরু করব।”

চোখে জল তাঁর প্রবীণ মা-বাবার। তিনি জানান, মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। এই নিয়ে আলাদা করে কোনও নেশা নেই তাঁর। ছোট খাটো কোনও উপহার পেলেও এভাবে দুম করে কোটি টাকা পাবেন তিনি, তা ভেবে পাননি। তবে লটারি নেশা তিনি রাখতে চান না বলেে জানান।

Lottery : লটারির নাম করে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ! গ্রেফতার মূল মাথা
বাপ্পার পরিবার বলে, “আমাদের নুন আনতে পান্তা ফোরানোর মতো অবস্থা। ঠিক মতো খাবার দাবার জুটত না। সেখান থেকে এত টাকা! রাতে আনন্দে একদিন ঘুমোতে পারিনি। সংসারের হাল ফিরবে ভেবেই আমরা খুশি। সকলেরই ভালো হোক এমনটাই চাই।”

এদিকে কোটি টাকার লটারি জয়ের খবর পেয়ে এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা তাঁদের দেখতে আসছেন। তাঁদের কথায়, বাপ্পা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতেন। ওদের কথা ভেবে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি।

বাংলা, জেলা, ব্লক, গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত খবর পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক:
https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *