ডেঙ্গি প্রাণ কাড়ল বিধাননগর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডলের। জানা গিয়েছে, ৫২ বছরের ওই মহিলা বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। চারদিন ধরে জ্বর না কমায় চলতি মাসের ২৭ তারিখে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে আজ সকাল ৭:৫০ নাগাদ মারা যান প্রতিমা মণ্ডল। ডেঙ্গি আক্রান্তের ছেলে জানান, ওই মহিলার বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর থাকলেও আগে ডেঙ্গির টেস্ট করা হয়নি। ডেঙ্গি উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই নিয়ে বেসরকারি মতে, গোটা রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৭। শুধু সল্টলেকেই ওই AE ব্লক থেকে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সল্টলেক দত্তাবাদের বাসিন্দারা জানান, বিধাননগর পুরসভার তরফ থেকে এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় না। জায়গা জায়গায় নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে। বেশ কয়েক জায়গা রাস্তা খারাপ হওয়া কারণে জল জমে থাকে এবং সেই জমা জল থেকে ডেঙ্গির লার্ভা জন্মায়। সেখান থেকে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে সল্টলেকে।
পাশাপাশি, পুরসভা থেকে জানানো হচ্ছে পুরসভার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার তেল এবং মশার ব্লিচিং পাউডার ছড়ায়। কিন্তু, মানুষ নিজে সচেতন নয়। তাই সেই কারণে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সল্টলেকে বাড়ছে। এই মুহূর্তে বিধান নগর পুরসভা অন্তর্গত প্রায় ২০০০ থেকেও বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
সল্টলেকে এই বছর প্রথম ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় সল্টলেকের AE ব্লকের ৭৯১ নাম্বার বাড়ির বাসিন্দা ৬৬ বছরের পিনাক সরকারের। বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা ছিল সিভিয়ার ডেঙ্গি সিন্ড্রোমের কথা। পর পর দু সপ্তাহে দু-দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এই সংক্রান্ত খবর, নিরাময় সমস্ত কিছু জানতে পারবেন এই সময় ডিজিটালেই। পাশাপাশি বাকি খবরের জন্যে ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A