গত কয়েক বছরে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের ছোট বড় অনেক বেসরকারি কলকারখানায় গড়ে উঠেছে । প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কর্মচারী বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন বলে জানা যাচ্ছে। যাদের ভরসা ইএসআই হাসপাতাল। আর ইএসআই হাসপাতালের ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধির কারণে নতুন একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় উদ্যোগী হয়েছিলেন ইএসআই হাসপাতালে নতুন একটি ভবন ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে।
২০১৮ সালে এই কাজ শুরু হয়। ঠিক ছিল ২০২০ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে এবং ভবনকে হস্তান্তরিত করা হবে ইএসআই হাসপাতালের হাতে। কিন্তু, ভবন সম্পূর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত ইএসআই হাসপাতালের ওই নতুন ভবন তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কারণ হিসেবে জানতে চাওয়া হলে জানা গিয়েছে ভবন তৈরি হলেও হাসপাতালের বিভিন্ন পরিকাঠামো এখনও পর্যন্ত সেখানে নেই। সেই কারণেই হাসপাতাল চালু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্র টাকা না দিলে সেই পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হবে না।
জানা গিয়েছে, প্রথম যখন কাজ শুরু হয় তখন এই হাসপাতালের বাজেট ধরা হয়েছিল ৩১ কোটি টাকা। বর্তমানে সেই বাজেট বেড়ে হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। অথচ কেন্দ্র সরকার টাকা দিয়েছে মাত্র ২৬ কোটি টাকা। সেই কারণেই কাজ আটকে থমকে পড়ে আছে। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ইএসআই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। কিন্তু কয়েকদিন আগে তিনি আসানসোলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলেই ইএসআই হাসপাতালের কাজ সম্পূর্ণভাবে করা যাচ্ছে না।’
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কেন টাকা আটকে আছে তা তিনি জানবেন। তবে পাল্টা তিনি মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে তোপ দেগিয়েছেন। অগ্নিমিত্রার দাবি, ‘কেন মলয় বাবু নিজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঙ্গে কথা বলছেন না? ওরা কি কেবল রাজনীতি করবেন?’ তবে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই তৈরি হয়েও আগাছার জঙ্গলে ভরে রয়েছে আসানসোল এসআই হাসপাতালের নতুন ভবন। পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষ।