এক্ষেত্রে এবার অবশ্য বিশেষ সুযোগ পাবেন শিলিগুড়ি শহরের মানুষজন। কারণ বাড়িতে রেডিও না থাকলেও এবার আর তাঁদের মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে অসুবিধা হবে না। শুনতে হবে না মোবাইল চালিয়েও। গতবছর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, এবার তা আরও বড় করে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় শোনানো হবে মহিষাসুরমর্দিনী। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে তার প্রস্তুতি।
কী ভাবে শোনানো হবে মহালয়া?
পুরনিগম সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে লাগানো হবে মাইক। মূলত বড় বড় মাইকই লাগানো হবে, যাতে ঘরে বসেই মানুষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী সুনতে পান। গোটা শহরজুড়ে একই সময় চালানো হবে চণ্ডীপাঠ। এর জন্য একটি কন্ট্রোল রুম করা হচ্ছে। সেখানে পুরনিগমের কর্মীরাও থাকবেন। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে সারা শিলিগুড়ি শহরে শোনা যাবে মহিষাসুরমর্দিনী।
যা জানাচ্ছেন শহরের মেয়র…
এই বিষয়ে শহরের মেয়র গৌতম দেব জানান, শহরবাসীর জন্য এই অনুষ্ঠান শোনানোর আয়োজন করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা থাকছে। আগে থেকেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হবে। এছাড়াও এই বছর গতবারের চেয়েও বড় আকারে কার্নিভাল হবে শিলিগুড়িতে। আগামী ২৬ অক্টোবর কার্নিভাল হওয়ার কথা রয়েছে। শহরের বড় বড় পুজো কমিটিগুলি অংশ নেবে কার্নিভালে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। গত বছর মহাত্মা গান্ধী মোড়ে কার্নিভাল হয়েছিল। এবছরও সেখানেই কার্নিভাল হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কার্নিভাল নিয়ে মেয়র গৌতম দেব একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ এই বছর দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই উৎসবের আমেজে মেতে উঠতে চলেছেন শিলিগুড়ি শহরের মানুষ।