পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গণকে। শিশুদের খেলার জন্য শিশু উদ্যানও নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণ। পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল নৌকাবিহার। কিন্তু করোনার সময় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে নৌকাবিহারের যাবতীয় সরঞ্জাম কার্যত বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
মন্দির প্রাঙ্গণের বাঁদিকে বড় সাইনবোর্ড লেখা রয়েছে নৌকাবিহার। এই লেখা দেখে নৌকাবিহারের জন্য নির্ধারিত ঘাটে ছুটে গেলেও পর্যটকদের হতাশ হতে হচ্ছে। হতশ্রী দশায় পড়ে রয়েছে নৌকাবিহারের ঘাটটি। এমনকী ব্যবহৃত বোটগুলিও বিভিন্ন দিকে ভগ্নপ্রায় দশায় পড়ে রয়েছে।
মন্দির কমিটির সদস্যদের দাবি, পুনরায় নৌকাবিহার চালু হলে চিল্কিগড়ে পর্যটক আরও বাড়বে। চিল্কিগড় মন্দির উন্নয়ন কমিটির সদস্য মানস জানা বলেন, ‘নৌকাবিহার করার জন্য বহু পর্যটক চিল্কিগড়ে ভিড় করতেন। কিন্তু করোনা মহামারীর পর থেকে নৌকাবিহার কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নৌকাবিহারের ঘাটটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বোটগুলিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। ব্লক প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে পুনরায় নৌকাবিহার চালু করলে পুজোর আগে পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।’
স্বপন খামরুই নামে মন্দির কমিটির আরও এক সদস্য বলেন, ‘যে সমস্ত পর্যটক চিল্কিগড় বেড়াতে এসেছেন তারা এর আগেও বহুবার এসেছেন। যারা একসময় নৌকাবিহারের আনন্দ উপভোগ করেছে তারা এখন আসলে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। আমাদের নৌকাবিহার কবে চালু হবে বলে প্রশ্ন করেন। আমাদের কাছে বলার মতো কোনও উত্তর থাকে না।’
ঝাড়গ্রামের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল চিল্কিগড়। বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি চিল্কিগড়ের জঙ্গলে থাকা ভেষজ উদ্ভিদ গুলি চিহ্নিত করে নামকরণ করা হয়েছে।
প্রতি মুহূর্তের খবর, ভিডিয়ো এবং যাবতীয় আপডেট দেখতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A