Dengue Mosquito : বিশ্রামের জায়গা বদলে এডিস ক্রমশই ডেঞ্জারাস – dengue carrier aedes aegypti mosquito has changed its resting place


দেবাশিস দাস

বিশ্রামের জায়গা বদলে ফেলেছে ডেঙ্গির বাহক এডিস এজিপ্টাই মশা। মানবশরীর থেকে রক্ত শোষার পর এখন আর ঘরের সিলিং বা দেওয়ালে বসে বিশ্রাম নেয় না তারা। তার বদলে বিশ্রামের জন্য পছন্দ করে ঘরে ঝোলানো জামা-কাপড়, ব্যাগ, জুতোর র‍্যাকে রাখা খালি জুতো, বইয়ের টেবিল বা তাকে সাজিয়ে রাখা বইয়ের ফাঁক, বারান্দায় মেলা ভিজে কাপড়। কলকাতা পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা বলছেন, ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত ঘর গোছানো জরুরি।

তাঁদের কথায়, কলকাতায় মশাদের চরিত্রের এই পরিবর্তন শুরু হয় ১৯৫০ সাল থেকে। সে বছর কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তে দেখা দিয়েছিল ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। দেশের সরকারকে নিতে হয়েছিল ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণ কর্মসূচি। বাড়ি-বাড়ি ঢুকে ঘরের দেওয়ালে, সিলিংয়ে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছিল বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে।

Dengue In Kolkata : ডেঙ্গি ঠেকাতে আবর্জনা মুক্ত হবে পুকুর, খরচ তুলতে চাপবে ট্যাক্স
এর পরেই ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা অ্যানোফিলিস তাঁর বিশ্রামের জায়গা বদল করতে শুরু করে। তার পিছু পিছু এডিস এজিপ্টাইও বদলে ফেলে তাদের বিশ্রামের জায়গা। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাসের কথায়, ‘পঞ্চাশের দশকে কীটনাশক ছেটানো ঘরের সিলিং বা দেওয়ালে বসে মশারা বুঝতে পেরেছিল ওদের ক্ষতি হচ্ছে।

Dengue Fever : ডেঞ্জারাস ডেঙ্গি, নজরে দক্ষিণ দমদমের ৭ পাড়া
তাই নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে কীটনাশক ছেটানো হয় না, ঘরের এমন জায়গাকে রেস্টিং সাইট হিসেবে বেছে নেয় তারা। তাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এখনও চলছে সেই ট্র্যাডিশন।’ পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, স্ত্রী মশারাই মানুষের শরীর থেকে রক্ত শুষে রোগের জীবাণু ঢুকিয়ে দেয়। রক্ত পান করে পেটে ফুলে ওঠার পরে মশার বিশ্রামের জায়গার প্রয়োজন হয়।

এডিস এজিপ্টাইরা বিশ্রামের জন্য পছন্দ করে শান্ত নিরিবিলি জায়গা। রক্ত পান করে তারা দিনতিনেক বিশ্রাম করে। এই সময়ে তারা পেটের ডিমকে পরিপক্ক করে। বিশ্রাম নেওয়ার পরেই ডিম পারার জন্য এডিস এজিপ্টাই খুঁজে বেড়ায় পরিষ্কার টলটলে জল। ঘরের মধ্যে গামলা, বালতি, চৌবাচ্চা-সহ যেখানে পরিষ্কার জল মেলে, সেখানে ডিম পারে এডিস।

Dengue Fever : ডেঙ্গির বাড়াবাড়ি বাংলাদেশেও, প্রকোপ কতদিন? কী জানালেন বিশেষজ্ঞরা?
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের পরামর্শ, ঘরে জল জামিয়ে রাখা যেমন যাবে না। নিয়মিত ঘর, জুতোর র‍্যাক পরিষ্কার করতে হবে। খোলা জুতো ভালো করে ঝেড়ে নেওয়া উচিত। ঝোলানো ব্যাগ, বইয়ের তাক নিয়ম করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *