বন দফতর সূত্রে খবর, পর্যটকদের পিঠে বসিয়ে জঙ্গলে ঘোরাতে পারে, গোরুমারাতে এমন হাতির সংখ্যা দুটি। জলদাপাড়াতে জঙ্গল সাফারির জন্য জন্য থাকা হাতির সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। এরমধ্যে হলংয়ে চারটি ও চিলাপাতায় একটি হাতি রয়েছে। আর এতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। পুজোর মরশুমে পর্যটকদের ব্যাপক চাহিদা কীভাবে মেটানো সম্ভব হবে, সেই নিয়ে চিন্তায় বন দফতরের আধিকারিকরা।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও একটি হাতির পিঠে চারজন পর্যটক চড়তে পারেন। একটি হাতি দিনে সর্বোচ্চ তিনটি ট্রিপ করতে পারে। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন একটি হাতি দিয়ে ১২ জনের বেশি পর্যটকের সাফারি করা সম্ভব নয়। সেই হিসেবে গোরুমারায় দিনে ২৪ জন ও হলং ও চিলাপাতায় ৬০ জনের বেশি পর্যটকের সাফারি করা সম্ভব নয়। তবে চাহিদার তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাফারির জন্য গোটা ডুয়ার্সে ৭টি হাতি থাকলেও সপ্তাহে একদিন করে তাদের ‘ডে অফ’। সেই কারণে বৃহস্পতিবার করে বন্ধ থাকে জঙ্গল সাফারি। হাতি অসুস্থ হয়ে পড়লে, টিকিট কাটা থাকলেও বন্ধ করে দেওয়া হয় সাফারি। সেই কারণে চিন্তা আরও বেড়েছে ট্যুর অপারেদের।
হাতির অপ্রতুলতা জঙ্গল সাফারিতে প্রভাব ফেলেতে পারে, একথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর। একটি বাংলা দৈনিককে তিনি বলেন, ‘জঙ্গল পাহারার কাজ থেকে সরিয়ে কোনও হাতিকে দিয়ে সাফারি করানোর কাজ করা সম্ভব নয়। কারণে সেখানে জঙ্গলের নিরাপত্তায় বড় ফাঁক থেকে যাবে। সেই কারণে পুজোর মরশুমে গোরুমারা দুটি হাতি থাকবে। পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে জলদাপাড়ায় আরও একটি হাতি নামানো সম্ভব কি না, সেটা চেষ্টা করা হবে।’
ব্রেকিং নিউজ হোক বা খেলা, নজর থাকুক এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A