Nalban Boating Park : নবরূপে সেজে উঠছে নলবন – nalban boating park is being renovated at a cost of 20 crore


তাপস প্রামাণিক

কংক্রিটের জঙ্গল ছেড়ে শহরের মানুষ যাতে খোলা প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাতে পারে, তার জন্য নতুন করে সাজানো হবে নলবন ভেড়িকে। মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য থাকবে বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা। তার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ২০ কোটি টাকা।

রাজ্য পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অবস্থিত নলবন ভেড়িকে কেন্দ্র করে একটি ‘নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে। যার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো জলাভূমি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ গড়ে তোলা। পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় কত প্রকারের জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদ রয়েছে, কত ধরনের পাখি ও কীটপতঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়, তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হবে।

Cine Cafe : সিনেমার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার মজাও! ঝাড়গ্রামে তৈরি হচ্ছে প্রথম সিনে ক্যাফে
তার জন্য বিশেষ এগজ়িবিশন সেন্টার তৈরি করা হবে। সেখানে টাঙানো থাকবে আকর্ষণীয় পোস্টার। জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদের মডেল ও রেপ্লিকাও রাখা থাকবে। এ ছাড়া নলবন চত্ত্বরে বেশ কয়েকটি টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক বানানো হবে। দর্শকরা নিজেরাই সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। থাকবে আধুনিক গ্যালারি। পাখি চেনানোর জন্য সেখানে অনেক বই ও ম্যাগাজিন রাখা থাকবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, নলবনের ভিতর একটি উঁচু ওয়াচ টাওয়ার বানানো হবে। সেখান থেকে নলবন ভেড়ি এবং তার আশপাশের এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যাবে। কেউ চাইলে সাইকেলে চেপেও পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারবেন। বানানো হবে সাইকেল ট্র্যাক। দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে শহরের নোংরা জল পরিশোধিত হয়।

Durga Puja Lionel Messi : বিশ্বকাপ সমেত দাঁড়িয়ে থাকবেন মেসি! পুজো মণ্ডপে এবার বিরাট চমক
সেই কাজ কী ভাবে হয় সে ব্যাপারে মানুষকে জানাতে একটি ওয়েস্ট রিসাইক্লিং মডেল রাখা থাকবে। বাচ্চাদের জন্য থাকবে চিলড্রেন্স প্লে এরিয়া। নলবনের মধ্যেই থাকবে আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অডিয়ো-ভিজ়ুয়াল প্রেজেন্টেশন দেওয়া হবে। পরিবেশ সচেতনা বাড়াতে মাঝেমধ্যেই সেমিনার ও আলোচনাচক্রের আসর বসবে। কেনাকাটির জন্য থাকবে স্যুভেনির শপ।

পরিবেশ সংক্রান্ত পত্রপত্রিকা, বইপত্র, ম্যাপ, ফোটোগ্রাফ-সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী কিনতে পারবেন দর্শকরা। জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। নামানো হবে আধুনিক মানের বোট। নলবন ভেড়ির মাঝখানে বেশ কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। সেখানে ক্যাফেটেরিয়া এবং রেস্তরাঁ গড়ে উঠবে। তবে সবটাই হবে পরিবেশবান্ধব উপায়ে।

Garchumuk Tour: গাদিয়ারা ও গড়চুমুকে হোটেল-হোম স্টেতে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা, নিয়ম না মানলে আইনি পদক্ষেপ
পরিবেশ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রকল্প গড়ে তুলতে সব মিলিয়ে ২০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার মতো খরচ ধরা হয়েছে। তার ৬০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্র। বাকিটা রাজ্য সরকার দেবে। সব ঠিক থাকলে ইংরেজি নববর্ষে নতুন চেহারায় দেখতে পাওয়া যাবে নলবনকে।

কী হচ্ছে?
– এগজ়িবিশন সেন্টার
– টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক
– গ্যালারি
– স্যুভেনির শপ
– ওয়াচ টাওয়ার
– সাইকেল ট্র্যাক
– বোটিং
– ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তরাঁ
– পার্কিং জ়োন
আনুমানিক খরচ- ২০,৩২,৫০০০০

প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ পেতে ক্লিক করুন : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *