‘মাথার উপরে ছাদ থেকে বঞ্চিত করেছে এরা’, একের পর এক দিল্লির পথে রওনা তৃণমূল কর্মীদের বাস


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্পেশাল ট্রেন ভাড়া করেও শেষপর্যন্ত তা মেলেনি। শেষপর্যন্ত রাজ্যের বকেয়া আদায় করতে বাসেই দিল্লি যাত্রা করলেন তৃণমূল কর্মীরা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে থেকে দুপুরেই পনেরটিরও বেশি বাস দিল্লির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। এভাবে বাস ছাড়বে সন্ধে ছটা পর্যন্ত। বাস যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন একশো দিনের কাজের জব কার্ডধারীরা, কারও কারও আবাস যোজনার টাকা আটকে রয়েছে। প্রায় ষোলশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- ”বাংলার বকেয়া আনবই, কেউ রুখতে পারবে না”, চড়া সুর অভিষেকের

তৃণমূল সূত্রে খবর আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শান্তনু সেন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ট্রেন বাতিল হয়ে যাওয়ার পরই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় জোগাড় করা হয়েছে ৫০টিরও বেশি বাস। সেই বাসেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। নেতাজি ইন্ডোর থেকে দিল্লিগামী এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা দিল্লি যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের বক্তব্য, বাংলা হোক, উত্তরপ্রদেশ যেখানেই হোক না কেন সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এনেছে। ওরা সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার করছে। তাহলে ওদের ভোট দিয়ে লাভ কী হল?

দীর্ঘ যাত্রাপথে কারও কোনও অসুবিধা যাতে না হয় তার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। খাবার, পানীয় জলের সঙ্গে, মেডিক্যাল কিটেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের উপর দিয়ে বাসকে যেতে হবে। সেখানে যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে হেঁটেই দিল্লি যাওয়া হবে। এমনটাই দাবি কোনও কোনও তৃণমূল কর্মীর।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এনিয়ে বলেন, বাংলার সাধারণ মানুষের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ওরা আমাদের এক মাসের একটা সময়সীমা দিয়েছিল। প্রকৃত সরকারি সুবিধে প্রাপকদের একটা তালিকা ওরা পাঠাতে বলেছিল। ঠিক সময়ে ১১ লাখ মানুষের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে জমা করেছে রাজ্য সরকার। সেই জমা দেওয়ার সময়ও প্রায় ১১ মাস হয়ে গেল। কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭০টি দল এসে আবাস যোজনায় কোনও গরমিল রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে গিয়েছে। তার পরেও ১১ মাস কেটে গিয়েছে। আমাদের পাওনা টাকা দেওয়া হচ্ছে না। মাথার উপরে ছাদের অধিকার থেকে এরা আমাদের রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করছে।

ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন,  ফাইট  ফর  রাইটস। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত সূর্যাস্ত নয়। নয়া স্লোগানে শান দিয়ে দিল্লি চলোর ব্লুপ্রিন্ট। দ্বিতীয় দিনে রাজঘাটে অবস্থান। গান্ধীস্মরণ বাংলাতেও। তৃতীয় দিনে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ। অভিযানের সুর বাঁধলেন অভিষেক। এদিন তিনি বলেন, “২ অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার জন্য একাধিকবার দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলাম। সর্বত্র আমাদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু, কোনও বাধাই কাজ করবে না। বাংলার মানুষের আন্দোলন এবং লড়াই করার অধিকার দিল্লির সরকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। জল দেব না, ঘর দেব না, প্রতিবাদ করার অধিকার দেব না।”

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *