এদিনের ফেসবুক লাইভে এসে অভিষেক বলেন, ‘বাংলার প্রাপ্য আদায়ের জন্য তৃণমূলের তরফে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলার মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষকে কথা দিলে আমরা বন্ধপরিকর। বাংলার মানুষকে বলব দৃঢ় মনোভাব রাখুন… অন্য দলের কর্মীদেরও আমি বলতে চাই, এটা শুধু তৃণমূলের কর্মসূচি নয়। এটা মানুষের কর্মসূচি। আমি সব স্তরের মানুষের কাছে বলতে চাই, যদি বিবেক, মানসিকতা ও মনুষত্ব থাকে তবে মানুষের জন্য রাস্তায় নামুন। মানুষের হাত শক্তিশালী করুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে হবে না। মানুষের হাত শক্ত করুন।’
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘২ ও ৩ অক্টোবর আন্দোলন হবেই। কারও ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। দিল্লিতে যদি বাংলার একটা মানুষের গায়ে হাত পড়ে, শ্রমিক-কৃষকদের উপর যদি আঁচড়ও পড়ে, তার জবাব কী ভাবে দিতে হয় দেখেবেন। মানুষ এর জবাব দেবেন। তৃণমূলকে দুর্বল ভেবে লাভ নেই। তৃণমূলকে আঘাত করলে তা আরও বাড়বে। বাংলার প্রাপ্য টাকা আমরা আদায় করে ছাড়ব।’
এদিনের ফেসবুক লাইভ থেকে নয়া কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন অভিষেক। একদিকে যখন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা দিল্লিতে ধরনা দেবে, তখন বাংলায় তৃণমূল কর্মীরা কী করবেন, তাও জানিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অভিষেক বলেন, ‘বাংলার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পঞ্চায়েতে গান্ধী জয়ন্তীর দিন মহাত্মা গান্ধী মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মোমবাতিও জ্বালাতে পারেন। ৩ অক্টোবর দিল্লির যন্তরমন্তরে আমরা যে সভা করব পঞ্চায়েত স্তরে তার লাইভ সম্প্রচার করতে হবে। পঞ্চায়েত প্রধান বা বুথ সভাপতিকে এই উদ্যোগী হয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
জয়েন করুন এই সময় ডিজিটাল। রইল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A