ঘটনা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামপুরহাট হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা তড়িঘড়ি চিকিৎসককে ডাকতে যাই। কিন্তু এসে দেখি ওই যুবক ভিতরে ঢুকে একজন রোগীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বাইরে যাওয়ার জন্য বলি। তখন মদ্যপ অবস্থায় থাকা ওই যুবক তার জামার ভিতরে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখে আমরা ভয়ে পিছিয়ে যাই। পরে ওই যুবক বাইরে এসেও হুমকি দিতে থাকে, বলে সে নাকি স্থানীয়, আমাদের দেখে নেবে।’
এদিকে এই ঘটনার পরই সিসিইউ-র সামনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পড়ে হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। খবর যায় পুলিশের কাছেও। খবর পেয়ে রাতেই ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হানিফ শেখের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে।
রামপুরহাট হাসপাতালে সহকারী সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা জুনিয়রদের কাছ থেকে জানতে পেরে আমরা রামপুরহাট থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি।” প্রসঙ্গত, ভাদু শেখ খুনের মামলাতেও এই হানিফ শেখকে ভারশালা মোড় থেকে আটক করেছিল পুলিশ। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বছর কয়েক আগে কলকাতার কেপিসি হাসপাতালেও এভাবেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় অভিযোগ ওঠে, কয়েকজন দুষ্কৃতী নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক মারধর করে, এমনকী তার মাথাও ফাটিয়ে দেয়। এছাড়া ২টি অ্যাম্বুল্যান্স এবং একটি শববাহী গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ঘটনার কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অক্সিজেন ফ্লোমিটারের কালোবাজারি নিয়ে। আর তাতে বাধা দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী কালোবাজারি ঠেকাতে হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া অন্য অ্যাম্বুল্যান্স কেপিসির বাইরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারই প্রতিশোধ নিতে অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।