খড়গপুরে ডাকাতির ঘটনায় শুক্রবারই ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দলের আরও এক সদস্যের কথা জানতে পারে পুলিশ। তারপরেই পুলিশ এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে এবং শনিবার সকালে বেলিয়াবেড়া থানার জামুয়াআখনা গ্রাম থেকে ডাকাত দলের ষষ্ঠ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া ওই ৫ জনের বাড়িও বিহারের বৈশালী জেলায়। তাদের নাম গৌরব সিং, প্রকাশ কুমার, সুজিত কুমার , নবীন কুমার এবং রোশন কুমার। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ টিম তাদের পাকড়াও করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
কোথায়- কী ভাবে প্ল্যান?
এদিকে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। খড়গপুর শহরে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে বসে প্ল্যান করেই ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল। ডাকাতি ও গুলি চালানোর ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই জানতে পারল পুলিশ। ধৃতরা বিহারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন ধৃতদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ছুরি ও একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন,’ঘটনার দু’দিন আগে খড়গপুর শহরে পরিত্যক্ত রেলওয়ে কোয়ার্টারে আশ্রয় নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারা প্ল্যান করার পাশাপাশি রেইকি করেছিল। কোন রাস্তা দিয়ে ঢুকবে, আর কোন রাস্তা দিয়ে কী ভাবে বেরিয়ে যাবে।’
পুলিশ সূত্র খবর, অপারেশনের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ পিছু নিতেই ঝাড়গ্রামের দিক দিয়ে ওড়িশা বা ঝাড়খণ্ডের দিকে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ঝাড়গ্রামের চিচিরা পোস্টে নজরদারি দেখে ওড়িশার দিকে ঘুরিয়ে নেয় নিজেদের গাড়ি। রান্টুয়া এলাকায় গাড়ি রেখে পোশাক খুলে ধান জমিতে গিয়ে আশ্রয় নেয় তারা। সেখানে ড্রোন উড়িয়ে গতকালই ৫ জনকে পাকড়াও করা হয়।
এদিকে খড়গপুরে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারেও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। অবাঞ্ছিত লোকজন যাতে ওই জায়গায় জরো হতে না পারে, সেই দিকটি দেখা হচ্ছে। দোকানের সিসি ক্যামেরা ছাড়াও পুলিশের সিসি ক্যামেরা দৃষ্কৃতীদের সাহায্য করেছে চিহ্নিত করতে।