অর্থাৎ, গতবারের চেয়ে বিধাননগরে ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা এ বার এখনও পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশি। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের মধ্যে পজি়টিভিটি রেট বর্তমানে সব চেয়ে বেশি এই বিধাননগর পুর এলাকায়। ২৪.৭৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহেও আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৯ জন। সোজা কথায়, ডেঙ্গি একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে বিধাননগরে।
এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সেই জন্য বিধাননগর পুরনিগমকে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়তি নজরদারি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলছেন, ‘বিধাননগর পুরনিগমকে সর্তক করা হয়েছে। রোগের প্রকোপ কমাতে যা যা করণীয়, তার সবই করতে বলা হয়েছে।’
বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করে নিচ্ছেন, ‘রোগের প্রকোপ এ বার গত বারের চেয়ে বেশি।’ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখনও যে ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়ে চলেছে, তাতে ডেঙ্গির প্রকোপ আরও বাড়বে। এই অবস্থায় বাড়ি-বাড়ি, ফাঁকা জায়গায় নজরদারির পাশাপাশি, পুজোর নির্মীয়মাণ মণ্ডপগুলোয় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।
কারণ, মণ্ডপে এখন যেমন জল জমার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনই খুঁটি পোঁতার জন্য গর্ত খোঁড়ার পর সেখানে রয়েছে জল জমার আশঙ্কা। পতঙ্গবিদদের বক্তব্য, এখন থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত পুজো কমিটিগুলোর। শনিবারই পুরনিগমের তরফে বিধাননগরের সব বড় পুজো উদ্যোক্তাদের চিঠি দিয়ে ডেঙ্গির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ক্লাবগুলোকেও নভেম্বর মাস পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচার চালানোর আর্জি রেখেছে পুরনিগম। সল্টলেকে এ কে ব্লক পুজো কমিটির তরফে রাজা বণিক বলেন, প্রতি রবিবারই এলাকায় আমরা সচেতনতা প্রচার চালিয়ে থাকি। প্যান্ডেলেও যাতে জল না জমে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
বছর আক্রান্তের সংখ্যা: ২০১৯-১৩৬, ২০২০-২৪৫, ২০২১-৩৬৫, ২০২২-৯৯৮, ২০২৩-২১৯৯।