VC Of State University : সার্চ কমিটিতে ২ বিতর্কিত, তির রাজভবনকে – controversy over proposed name of chancellor governor in search committee to select vice chancellors of state university


এই সময়: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে আচার্য-রাজ্যপালের প্রস্তাবিত নাম নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচ জনের নাম সার্চ কমিটিতে সুপারিশ করেছেন আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার মধ্যে দু’জনকে নিয়ে বিতর্ক চরমে। এঁদের অন্যতম আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভিকে তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র ফয়জান আহমেদের রহস্যমৃত্যুতে তথ্যগোপনের অভিযোগ তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

অন্য জন রাজস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সহকর্মী মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমন দু’জনের নাম রাজভবন কী করে সার্চ কমিটিতে সুপারিশ করে–সে নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষামহলে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছে রাজ্য সরকারও।

Supreme Court Of India : ভিসির খোঁজে প্রতিনিধি দেবে সুপ্রিম কোর্টও
আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভিকে তিওয়ারিই অতিমারীর সময়ে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র ফেসবুক থেকে অনলাইনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। আবার রামায়ণে বর্ণিত পুষ্পকরথকে বিমানের সঙ্গে তুলনা করেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাঁকে নিয়ে সব থেকে বড় প্রশ্ন অবশ্য আইআইটি’র হস্টেলে অসম থেকে পড়তে আসা ছাত্র ফয়জান আহমেদের রহস্যমৃত্যু ঘিরে। কলকাতা হাইকোর্টে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অধিকর্তাকে।

আদালতে হাজিরা দিতেও বাধ্য হন তিওয়ারি। আদালত লিখিত নির্দেশেও ছাত্রমৃত্যুতে খড়্গপুর আইআইটি’র বিরুদ্ধে তথ্যগোপন এবং অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টার উল্লেখ করে। সরাসরি অধিকর্তাকেই কাঠগড়ায় তোলে হাইকোর্ট। পুলিশ এবং আইআইটি ফয়জানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। অধিকর্তার বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তীতে আদালতের নাছোড় মনোভাবে পুলিশ চার ছাত্রের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে এফআইআর করে। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার তত্ত্বও খারিজ হয়, খুনের মামলা রুজু করে আদালত গঠিত সিট এখন তদন্ত চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে অধিকর্তার প্রতিক্রিয়ার জন্যে বার বার ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও তিওয়ারি জবাব দেননি।

Bratya Basu CV Ananda Bose : ‘সাংবিধানিক সহকর্মী’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বার্তা আচার্যের
অন্য জন বর্তমানে রাজস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। তিনি এমনিতেই শিক্ষামহলে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ২০১৮-য় তিনি যখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এক অধ্যাপিকা যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিরসন কমিটি বা আইসিসি’র সুপারিশে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি।

তাঁর রিঅ্যাপয়েন্টমেন্টের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও। পরে তাঁকে দিল্লি থেকে সরিয়ে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়।
এমন লোকজনকে আচার্য-রাজ্যপাল উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে সুপারিশ করায় তোপ দেগেছে রাজ্যের প্রাক্তন উপাচার্যদের মঞ্চ ‘এডুকেশনিস্টস ফোরাম’ এবং শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’।

Ragging Case : সাড়ে ১২ ঘণ্টা ধরে মিটিং, র‍্যাগিং-রোধে সিদ্ধান্ত হল কই? প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ
ফোরামের তরফে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে আলোচনা করেছি। রাজ্যপালের তালিকায় সব ভিন রাজ্যের মানুষের ভিড় কেন? রাজ্যে কি এক জনও শিক্ষাবিদ নেই, যাঁকে রাজ্যপাল সার্চ কমিটিতে রাখতে পারতেন?’ ওয়েবকুপা’র নেতা তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘ছাত্রমৃত্যু আড়াল করা অধিকর্তা থেকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ভিসি—আসলে রতনে রতন চেনে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের নজরে বিষয়টি আনতে চাই।’

যদিও রাজভবন সূত্রের দাবি, যাঁদের রাজ্যপাল বাছাই করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা-প্রশাসনে দীর্ঘদিন যুক্ত। অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।

https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *