তখনই উলটো দিক থেকে ছুটে আসে একটি দুরন্ত গতির ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপসিটিকে ধাক্কা মারে। সংঘাতের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, জিপসিটি গুঁড়িয়ে যায়। পথচলতি মানুষেরাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ ও গোরুমারার বনকর্মীরা।
আহতদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা মাধবী মল্লিক, মীরা মল্লিক এবং মধ্যমগ্রামের সুমিতা দত্ত। মৃত প্রতিমার বাড়িও মধ্যমগ্রামে। জঙ্গলের বুক চিরে চলে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলির অনিয়ন্ত্রিত গতিবেগ নিয়ে সরব হয়েছে বন দফতর।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাইরে হয়েছে। কিন্তু জঙ্গলপথে আমরা বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে স্পিডব্রেকার প্রতিস্থাপন করার আবেদন জানিয়েও কোনও রকম সহযোগিতা পাইনি। আর পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গল ভ্রমণের সময় জিপসির গতিবেগ কখনই বেশি থাকে না। এছাড়াও জিপসিগুলির ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়মিত ভাবে পরীক্ষা করা হয়। সুতরাং আমার ধারণা, ছোট গাড়িটির অত্যধিক গতিই দুর্ঘটনা ডেকে এনেছে। বাকিটা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হবে।’
তবে বন দফতরের অভিযোগ নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।