দুর্গাপুরেও ছাড়া হল জল
ডিভিসি সূত্র জানা যাচ্ছে, একদিকে যেমন দামোদর উপত্যকা এলাকায় গত ২ দিন ধরে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় সেই জল মাইথন জলাধারে এসে জমা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ায়, তা পাঞ্চেত জলাধারে এসে জমা হয়েছে। অর্থাৎ ঝাড়খণ্ডে অতিভারী বৃষ্টির জেরে, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের জল বিপদসীমার উপরে চলে আসার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিসি।
বাঁকুড়ায় সতর্কতা প্রশাসনের
এদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জল ছাড়ার পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান-সহ সাতটি জেলা। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে বাঁকুড়ার সোনামুখী পাত্রসায়ের ব্লকের দামোদর নদীর তীরবর্তী যে সমস্ত গ্রাম রয়েছে, এই গ্রামগুলিকে অগ্রিম সতর্কতা স্থানীয় প্রশাসনের। গ্রামে ঘুরে ঘুরে পঞ্চায়েতগুলির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সকলকেই সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে কেউ যাতে মাছ ধরতে নদীতে না যান, সেই বিষয়েও সতর্ক করছে প্রশাসন। সূত্রের খবর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে আরও জল ছাড়া হতে পারে। তবে প্রশাসন আগেভাগে সতর্ক করায় খুশি এলাকাবাসী। কারণ এতে আগে থেকে সতর্ক হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
অবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী বুধবার পর্যন্ত এভাবেই একনাগাড়ে বৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন জেলায়। তাই আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে ডিভিসি। বিভিন্ন ড্যামে জমা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল। যদি টানা আর কিছুদিন বৃষ্টি হয়, তাহলে বাধ্য হয়ে আরও বেশি জল ছাড়তে হবে ডিভিসিকে। এদিকে দামোদরের জল ছাড়ায় রাজ্যের নিম্ন অববাহিকা অঞ্চল, বিশেষত হাওড়া ও হুগলির মতো জেলাগুলিতে যেন তার কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।