সোমবার রাতভর বৃষ্টিপাতের পর মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। সমুদ্র উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আজও গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ওপর জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
জেলার প্রতিটি থানার পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় চলছে মাইকিং প্রচার। পাশাপাশি নামখানা ব্লক প্রশাসনের তরফে বকখালি পর্যটন কেন্দ্রের সমুদ্র সৈকতে চলছে লাগাতার মাইকিং। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বকখালি , বালিয়াড়া সহ গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নামতে দেওয়া হচ্ছে না সমুদ্র স্নানে। এই সকল জায়গার সমুদ্র সৈকতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। বকখালি এবং সাগরের সমুদ্র সৈকতে কড়া নজরদারি রেখেছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
তবে গত দুদিন ছুটির দিন গুলিতে বকখালি, সাগর সহ মৌসুনিতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা সমুদ্রে নামতে না পেরে যথেষ্ট হতাশ হয়েছেন। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। ব্লক প্রশাসন।
নামখানীা ব্লকের BDO শান্তনু সিং ঠাকুর বলেন, ‘নিম্নচাপ নিয়ে আমরা গোটা এলাকাতেই সতর্কতামূলক প্রচার চালিয়েছেন। উইকএন্ডের কারণে পর্যটকদের ভিড় ছিল। সেই কারণে মৌসুনি, হেনরিজ আইল্যান্ড, বকখালিসব ফ্রেজারগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে প্রচার চালানো হয়েছে, যাতে পর্যটকরা সমুদ্রে না চলে যান। কোনও পর্যটনকেন্দ্রে বিধিনিষেধ নেই। সিভিল ডিফেন্স কর্মীদেরও সমদ্র সৈকতে মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্যা অধ্যুষিত এলাকার প্রায় এক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশাসন ও বিভিন্ন আধিকারিকরা সতর্ক রয়েছেন।’
গোটা রাজ্যেই দুর্যোগের পরিবেশ। ঘনঘন বৃষ্টিপাত, তার উপর ডিভিসির ছাড়া জলের কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে সতর্কতা। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোনও দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।
সব খবর জানতে ক্লিক করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ লিঙ্কে। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A