কী জানা যাচ্ছে?
মঙ্গলবার বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী পুরুনডিহি, কালপাথর, কুমিদ্যা গ্রামে পরিদর্শনে যান। গ্রাম গুলিতে ভগ্নপ্রায় মাটির বাড়িতে বসবাসকারী মানুষ জনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বাসিন্দাদের হাতে ত্রিপল তুলে দেন। এমনকি বিশেষ প্রয়োজনে তাঁদের প্রত্যেককেই স্থানীয় স্কুল, কমিউনিটি হল গুলিতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছেন গ্রামবাসীরা?
গ্রামবাসী কাজল মাল বলেন, ‘এই বৃষ্টির দিনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বিডিও নিজে গ্রামে এসে ত্রিপল দিয়ে গেছেন ও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান।’
বিডিও কী জানালেন?
বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘অতি আশঙ্কাজনক বাড়িতে থাকা মানুষ জনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বাকিদের ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে।’ ফলে এই মুহূর্তে বড় কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু
দুদিন আগেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামে মাটির বাড়ি ভেঙে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তিন শিশুর। এদের বয়স তিন থেকে সাত বছরের মধ্যে। জানা যায়, বাড়ির দালানে খেলছিল প্রত্যেকে। হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে দেওয়ার ভেঙে পড়ে তাদের উপর। বাঁকুড়ার বিষ্ণপুরের বাকাদহের বোড়ামারা গ্রামের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। টানা বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়ালের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করেন সকলে। এরপর ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনিতেও শ্যামাপদ নায়েক (৬০) নামে এক ব্যক্তির মাটির দেওয়ার ধসে প্রাণ যায়। পাশাপাশি, বাঁকুড়া জেলার ছাতনায় একই ভাবে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার।
সব খবর সবার আগে জানতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A