বন দপ্তর জানিয়েছে, বাতিল হওয়া গাড়ির মালিকদের বিএস ৬ স্ট্যান্ডার্ডের নতুন জিপসি কিনতে হবে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল পর্যটনের নতুন মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যটকরাও ফের জঙ্গলমুখী হয়েছেন। কিন্তু বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ভ্রমণের মূল অ্যাডভেঞ্চার জিপসি সাফারি। সামনেই পুজো। বক্সায় জিপসির অভাবের কথা জানাজানি হতেই পর্যটকরা বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। কারণ জয়ন্তীর আশপাশের হোমস্টেগুলিতে আসা পর্যটকরা শুধুমাত্র জয়ন্তী নদী ও বক্সা পাহাড় দেখেই সন্তুষ্ট থাকেন না। তাঁদের কাছে বক্সার গভীর জঙ্গল, পুখরি ও মহাকাল দর্শনও সমান ভাবে আকর্ষণীয়।
পুরোনো জিপসি বাতিলের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও হোম-স্টের মালিকদের। যদিও বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিকল্প পথ হিসেবে মারুতির তৈরি ‘জিমনি’ অথবা পেট্রলচালিত যে কোনও বিএস-সিক্স স্ট্যান্ডার্ডের নতুন গাড়ি কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। জয়ন্তীর একটি হোম-স্টের কর্ণধার শুভজ্যোতি বসু বলেন, ‘জিপসির পরিবর্তে ঋণ করে আমরা জিমনি কিনতে রাজি আছি। কিন্তু ওই নির্দিষ্ট গাড়িটি তো হার্ডটপ। জিপসিতে বসে যেমন খোলা আকাশ, চারপাশটা দেখা যায়, নতুন গাড়িতে চড়ে পর্যটকরা জঙ্গল ভ্রমণের আমেজটাই নিতে পারবেন না। ফলে আমরা ব্যাঙ্ক অথবা বেসরকারি ভাবে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনলে আদৌ চলবে কি? মাসিক কিস্তি কী ভাবে চালাব?’
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, ‘যদি লজ্ঝড়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে পর্যটকদের কোনওরকম বিপদ ঘটে, তখন তার সম্পূর্ণ দায় এসে পড়বে বন দপ্তরের উপরে। তাই আমরা বিকল্প দিশা ও সুযোগের কথা বলেছি। এ ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই।’ যদিও জিপসি মালিক জগদীশ ওঁরাওয়ের কথায়, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যে নিয়মের বেড়াজালে আটকে দেওয়া হয়েছে, তাতে তো চুরি করে বাঁচতে হবে! আমরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব।’
ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A