Lakshmir Bhandar : রেকর্ডের পথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! আরও বিপুল সংখ্যক মহিলা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা – lakshmir bhandar will get several new beneficiaries says government sources


২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারে জন্য ক্ষমতায় এসে সেবছর দুর্গাপুজোর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেন মমতা। বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসিক ৫০০ টাকা করে দেওয়া শুরু হয়। প্রকল্প চালু হওয়ার দু’বছরের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তার সংখ্যা নয়া রেকর্ড স্পর্শ করল। দু’বছরেই এই প্রকল্পের সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি ছাড়াতে চলেছে। বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। জমা পড়া আবেদনের মধ্যে আরও ৯ লাখ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব শীঘ্রই এই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে পাঠানো শুরু হবে।

Lakshmir Bhandar : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে পুরুষের অ্যাকাউন্টে! অবাক কাণ্ড কোচবিহারে
রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, নয়া উপভোক্তাদের জন্য এটা মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উপহার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন কোনও উপভোক্তা যুক্ত হলে তাঁদের টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে শুরু হয়। এবারও তার অন্যথা হবে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের একাংশ। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩১ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পান। আরও ৯ লাখ উপভোক্তা যোগ হলে তা ২ কোটি ছাড়াবে।

West Bengal Government : টাকা দেয়নি কেন্দ্র, মজুরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে নবান্ন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে একাধিক নয়া প্রকল্প চালু করেন। আরও ৯ লাখ উপভোক্তা যোগ হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রেকর্ড তৈরি করবে। নয়া নিয়মে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁরা বার্ধক্যভাতা পেতে শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা ও অন্যান্য মহিলারা ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।

Lokprasar Prakalpa : রাজ্যের প্রত্যেক শিল্পী পাবেন মাসে ১ হাজার টাকা, কী ভাবে আবেদন করবেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা এই প্রকল্পের কারণে মহিলাদের সমর্থন তৃণমূলের প্রতি বেড়েছে। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁর প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে মত শাসকদলের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এই প্রকল্পের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়েছে। এতদিন ধরে প্রতি মাসে এই প্রকল্পের জন্য ১০৯০ কোটি টাকা খরচ হয় সরকারি কোষাগার থেকে। আর ৯ লাখ উপভোক্তা যোগ হলে মাসিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ বাড়বে। একবছরে এই খাতে খরচ দাঁড়াবে সাড়ে ১৩ হাজরা কোটি টাকা।

https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *