সেইমতো গত কয়েকবছর ধরে বেতন সহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসছিলেন তাঁরা। এদিকে এই বছর তাঁদের বেতন বৃদ্ধির জন্য গত আগষ্ট মাসে ৩০ লক্ষ টাকা চলে আসে। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন কর্মীরা।
কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারের অধীনে থাকা পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে না। এই মর্মে একটি সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়। আর এতেই কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সংস্থার ১৭৫০ কর্মী। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামেন তাঁরা। মঙ্গলবার শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যত ডিপো রয়েছে তার কয়েকশো কর্মী ছুটি নিয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মী আন্দোলনে নামায় NBSTC র যাত্রী পরিষেবায় ব্যাহত হয়। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কোচবিহার ডিপো সম্পাদক দীপেশ দাস বলেন, ” NBSTC কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে সংস্থার আয় ১৬ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। এতে NBSTC-র অস্থায়ী কর্মীরা বিপদে পড়েছে। তাই আন্দোলনে নামা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পুজোর আগে প্রত্যেকেই সুখবর পাওয়ার আশায় থাকেন। যে অস্থায়ী কর্মীদের উপর ভিত্তি করে NBSTC-র হাল ফিরেছে তাদের প্রাপ্য অবশ্যই দেওয়া উচিত। ৬০ বছর আদৌ চাকরি থাকবে কিনা তার কোনও গ্যারান্টি নেই। আমাদের যদি সংসার না চলে সেক্ষেত্রে আমাদের থেকে সেরা কাজটা আশা করেন কী করে!”
এদিকে এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে NBSTC চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় বলেন, “সরকারের নির্দেশ সকলকে মান্য করে চলছে হবে। আর নির্দেশ মোতাবেক এখনই তিন শতাংশ হারে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”
রাজ্যের আরও খবর পাওয়ার জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক:https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A