ভিনরাজ্য থেকে বাঘ আনার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে বক্সার বাঘবনে প্রচুর পরিমাণে চিতল হরিণ ছাড়া হয়েছে। তাতে অন্য মাংসাশী বন্যপ্রাণীদের খাদ্যভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হয়েছে। যেহেতু ইন্ডিয়ান ঢোলরা দলবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে এবং শিকারকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে আক্রমণ করে কাবু করে, তাতে চিতল হরিণদের মতো সহজ শিকার বুনো কুকুরদের জন্যে আদর্শ বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
জয়ন্তী থেকে পরিবার নিয়ে বড় মহাকাল যাওয়ার পথে কোচবিহারের চিকিৎসক প্রসূন বিশ্বাসের ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ইন্ডিয়ান ঢোলের ছবি। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় আমি শেয়ালই ভেবেছিলাম। কিন্তু জয়ন্তীর শুভজ্যোতি বসু সঙ্গে থাকায় তিনি ওই বন্যপ্রাণীটিকে ইন্ডিয়ান ঢোল বলে চিহ্নিত করেন। ছবি তোলার জন্য গাড়ি থেকে নামার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ ওরা যে হিংস্র হয়, তা আমার জানা ছিল। ওই দলে পাঁচটি বুনো কুকুর থাকলেও একটিরই ছবি তুলতে পেরেছি। তারপর আর ঝুঁকি নিতে সাহস হয়নি। কারণ ওরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় প্রায় আক্রমণমুখী হয়ে উঠেছিল।’
ইতিপূর্বে ডানকুনির এক পর্যটক টুবাই মান্নার ক্যামেরায় ইন্ডিয়ান ঢোলের ছবি ধরা পড়েছিল বক্সার গভীর অরণ্যে। সেই খবর সবার আগে প্রকাশিত হয় ‘এই সময়’ সংবাদপত্রে। ফের পর্যটকের ক্যামেরায় বুনো কুকুরের ছবি ধরা পড়ায় উচ্ছ্বসিত বনকর্তারা। ইতিপূর্বে বনদপ্তর বারবারই দাবি করতো যে, বক্সায় ইন্ডিয়ান ঢোলদের অস্তিত্ব রয়েছে। বনের গভীরে নজরদারি চালানোর সময় বনকর্মীরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির ভেতরে বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়ান ঢোল দেখতে পেয়েছেন। এমনকী, বন দপ্তরের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপেও ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু পরপর দু’বার সরাসরি পর্যটকদের ক্যামেরায় ইন্ডিয়ান ঢোলের ছবি উঠে আসায়, বক্সার বাঘ বনে ইন্ডিয়ান ঢোলদের অস্তিত্ব নিয়ে আর কোনও সংশয় রইল না বলে দাবি বনকর্তাদের।