Hooghly Flood News : জলে ভাসছে খানাকুল, গোঘাটে ভেঙে পড়ল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির দেওয়াল! আতঙ্ক বাড়ছে হুগলিতে – flood condition deteriorates at hooghly khanakul arambagh goghat


টানা বৃষ্টি ও জলাধারের ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির খানাকুল। হু হু করে জল ঢুকছে খানাকুলের মারোখানা, চিংড়া, পলাশপাই, অড়ুন্ডা ও পোল পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
ইতিমধ্যেই জল ঢুকেছে ওই সমস্ত এলাকার বেশ কিছু বাড়িতেও। জলমগ্ন বিঘার পর বিঘা জমি। কোথাও হাঁটু জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে, কোথাও আবার জল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে জিনিস পত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন গ্রামবাসী।

কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফুঁসছে মুণ্ডেশ্বরী। জল বাড়ছে দামোদর ও দ্বারকেশ্বরে। বিশেষত এই মুহূর্তে খানাকুলের রামমোহন ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হতে শুরু করেছে মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে সেকেন্দারপুর বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির জল থেকে বাঁচতে ত্রিপল পৌছে দেওয়া হচ্ছে। গোঘাটের ভাদুরের কুলি এলাকায় গোয়ালের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুটি গরুর।

Flood Alert in West Bengal : রাতেই ডুবল বিস্তীর্ণ এলাকা, বানভাসিদের জন্য ত্রাণ শিবির হাওড়ায়
আংশিক ভেঙে পড়ল প্রধানের বাড়ি

এদিকে টানা বৃষ্টিতে গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সান্তনা মান্নার মাটির ঘরের একাংশ ভেঙে পড়ছে। যদিও প্রধান বলেন, ‘আমার থেকে আরও করুণ অবস্থায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। আগে তাঁদের সমস্যার সমাধান হোক, তারপর আমার।’ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হলেও হুগলিতে এখনও ত্রিশ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই জলাশয়গুলি জল ধারণ করতে পারছে। চাষের এখনও কোনও ক্ষয় ক্ষতি হয়নি বলেই জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর। তবে ডিভিসি জল ছাড়ায় নদীগুলির বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। খানাকুলের দু’টি ব্লকে নীচু এলাকায় চাষের জমিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

West Bengal Flood Alert: ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা! ৭ জেলা নিয়ে সতর্ক নবান্ন, জারি নির্দেশিকা
প্রস্তুত জেলা স্বাস্থ্যদফতর
হুগলি জেলায় ২০টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০৪ জনকে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই জেলা স্বাস্থ্যদফতরও তৎপর হয়েছে। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইঞা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে খানাকুল পরিদর্শন করেন ও পরে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে বৈঠক করেন। সিএমওএইচ বলেন,’বন্যার জলে নানা অসুখ হয়। ডায়রিয়া জ্বর হয় সাপে কাটার মতো ঘটনা ঘটে। আগে থেকেই প্যারাসিটামল, ওআরএস মজুত করা হয়েছে সাব সেন্টার গুলিতে। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতেও পর্যাপ্ত ওষুধ রাখা হয়েছে। সাপে কাটার জন্য এভিএস থাকছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে। আশাকর্মীদের কাছে প্রাথমিক ওষুধ রাখা থাকছে। চারিদিক প্লাবিত হলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। নৌকা করে স্বাস্থ্যকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সেই কারণে আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

Hooghly Flood

পরিদর্শনে জেলা স্বাস্থ্যদফতর

DVC Water Release Today : ফুঁসছে দামোদর, বেশকিছু ঘাটে বন্ধ ফেরি পরিষেবা! চালু কন্ট্রোল রুম
প্রস্তুত পুলিশও
আরামবাগ এসডিপিও জানান, খানাকুল ১ এবং ২, এই দুটি ব্লককে বেশি নজরে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জল বাড়লে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীতে না যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিও,ওসি এবং আইসিদেরও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতিতির বাকি খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল। ক্লিক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *